Monday, May 5, 2025

লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর সেই মতোই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। বিজেপি বিরোধী জোটের অংশ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাওয়া তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrasekhar Rao) বদলে ফেললেন নিজের দলের নাম। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (TRS) থেকে নাম হল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS)।

ঘড়ি ধরে নির্ঘণ্ট মেনে বুধবার দুপুর ১টা বেজে ১৯ মিনিটের দলের নতুন নাম দিলেন কেসিআর। এর আগে দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে দলের নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেন। নাম ঘোষণা হতেই আবির মেখে, বাজি ফাটিয়ে উৎসব পালন করেন দলের কর্মী-সদস্যরা। দলের নয়া নামকরণের বিষয়টি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।

এবার জাতীয় দলের স্বীকৃতি চাইছে BRS। জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছু নিয়ম রয়েছে। যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই কমপক্ষে চারটি রাজ্যে অস্তিত্ব থাকা বাধ্যতামূলক।
অথবা চার রাজ্যের যে কোনও একটিতে এবং চারটি লোকসভা আসনে ভোটের শেয়ার অন্তত ৪ শতাংশ হতে হবে।

লোকসভা নির্বাচনে অন্তত তিনটি রাজ্যে যদি কোনও দলের ভোট শেয়ার ২ শতাংশ থাকে, সে ক্ষেত্রেও জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার নয়। কিন্তু কেসিআর-এর দলের শুধুমাত্র তেলঙ্গানাতেই অস্তিত্ব রয়েছে। সুতরাং অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করতে গেলে নামের মধ্যে প্রাদেশিকতার গন্ধ থাকলে সমস্যা হতে পারে। সেই জন্যেই ‘তেলেঙ্গানা’-র বদলে ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এদিন, দলের নয়া নামকরণের অনুষ্ঠানে ছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, ডিএমকে সহযোগী টি তিরুমাবালন।

২০২৪-এর বিজেপি হঠাৎ এ তিনি অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে থাকবেন বলে অনেকবার জানিয়েছেন কেসিআর। মোদি-বিরোধিতা প্রমাণ করতে তেলঙ্গানা সফরে গেলেও তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতেও দেখা যায়নি কেসিআর-কে। কংগ্রেসের সঙ্গেও তিনি যেতে চান না। সে ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধীদলগুলির মুখ হওয়ার চেষ্টা করছেন চন্দ্রশেখর রাও। সেই কারণেই ‘তেলেঙ্গানা’ হয়েছে ‘ভারত’।

বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে একমঞ্চে আনতে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay), দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গেও দেখা করেছেন কেসিআর। নভেম্বরে তেলঙ্গানায় উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানেই নয়া নামে লড়তে চান তিনি। এ ছাড়াও মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, দিল্লি, গুজরাটের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান কেসিআর। সেই সব পরিকল্পনা করেই নাম পরিবর্তন। তবে নাম বদলালেও, দলের প্রতীকচিহ্ন একই থাকছে।

আরও পড়ুন- ইছামতীর তীরে দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার, ভৌগলিক বিভাজন ভুলে মাতল প্রতিমা বিসর্জনে


 

Related articles

নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বেগ! নাইজারে অপহৃত ছয় ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিক

পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের তিল্লাবেরি অঞ্চলে ছয়জন ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র জঙ্গিরা। গত ২৫ এপ্রিল ঘটে যাওয়া...

কড়া নজরদারিতে রাজ্য নির্বিঘ্নে হল নিট পরীক্ষা

চলতি বছর রবিবার হয়ে গেল ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা।  ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তত্ত্বাবধানে গোটা দেশজুড়ে প্রায়...

পরপর ছয় বলে ছটা ছয়, ইতিহাস তৈরি রিয়ান পরাগের

ইডেন গার্ডেন্সে রাজস্থান রয়্যালস(RR) জিতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু ঐতিহ্যের ইডেনেই ইতিহাস তৈরি করলেন রিয়ান পরাগ(Riyan Parag)। পরপর ছয়...

ব্যানার-হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা! মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তৃণমূল 

সোমবার ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে বহরমপুর থেকে রওনা হয়ে তিনি পৌঁছাবেন ধুলিয়ানে। সূত্রের...
Exit mobile version