জেরায় অসহযোগিতার অভিযোগ! গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের পর সায়গলকে গ্রেফতার ইডির

এদিনই সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে আসানসোল পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা (ED Officials)। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অসহযোগিতার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী (Bodyguard) সায়গল হোসেনকে (Saigal Hussain) গ্রেফতার (Arrest) করল ইডি (Enforcement Directorate)। শুক্রবার আসানসোল জেলে (Asansol Jail) প্রায় ঘণ্টা চারেক জিজ্ঞাসাবাদের (Interrogation) পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে এদিনই গরু পাচার মামলায় আদালতে চার্জশিট (Charge Sheet) পেশ করে সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে অনুব্রত ও সায়গলের বিপুল সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি এদিনই সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে আসানসোল পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা (ED Officials)। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অসহযোগিতার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইডি সূত্রে খবর, সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পেতেন রাজ্য পুলিশের এই কন্সটেবল (Constable)। তা সত্ত্বেও সায়গল কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তবে এদিন গোয়েন্দাদের একাধিক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত (Confused) করার চেষ্টা করছিলেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিবিআই-র রিমান্ড লেটারে (Remand Letter) দাবি করা হয়, অনুব্রতর দেহরক্ষীর মাধ্যমেই গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পৌঁছত এবং বেনামি সম্পত্তি কেনা হত। আর সেকারণেই সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তাঁর সম্পত্তি, টাকার উৎস ও বেআইনি লেনদেন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবে ইডি।