জমজমাট বিসর্জনের কার্নিভালে আদিবাসী নাচের তালে পা মেলালেন স্বয়ং মমতা, বাজালেন করতাল

সবসময়ই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে ভালবাসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার, রেড রোডে শুরু বর্ণাঢ্য বিসর্জনের কার্নিভালেরো তার ব্যতিক্রম হল না। একের পর এক আসছে বিভিন্ন পুজো কমিটির ট্যাবলো। সঙ্গে ৩মিনিটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রামমোহন সম্মেলনীর শোভাযাত্রায় আদিবাসী নৃত্য় শিল্পীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে এক পুজো কমিটির ট্যাবলোর সঙ্গে করতাল বাজান মমতা।

আরও পড়ুন:উৎসবের রেশ ধরে রেড রোডে শুরু বিসর্জনের বর্ণাঢ্য মেগা কার্নিভাল

কার্নিভালে নজর কাড়ল সুখিয়া স্ট্রিটের রামমোহন সম্মিলনীর পুজোর ট্যাবলো। এবছর তাদের থিম ‘জঙ্গলকন্যা’। রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে সামনে রেখে সেজে উঠেছিল সুখিয়া স্ট্রিটের এই পুজো মণ্ডপ। এদিন রেড রোডে তাঁদের ট্যাবলোর সামনে ছিলেন বীরবাহা। ধামসা মাদলের তালে তিনি একদিকে যেমন পা মেলালেন তেমনই পা মেলাতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নাচের তালে পা মেলান বীরবাহা হাঁসদা, বিধায়ক অদিতি মুন্সি, জুন মালিয়া-সহ টলিউডের একঝাঁক সেলেবদের। ঝাড়গ্রাম থেকে আসা আদিবাসীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সবুজ শাড়িতে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে প্রতিমা নিয়ে বাবুঘাটের দিকে রওনা হয় রামমোহন সম্মিলনীর সুসজ্জিত ট্যাবলো।

ঠিক সাড়ে চারটেয় শুরু হয় কার্নিভাল। চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। কার্নিভালের জন্য বিভিন্ন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শনিবাসরীয় সন্ধেয় আলো ঝলমলে রেড রোড যেন চেনা দায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রেড রোডে যেন মহাষ্টমীর আমেজ। যতদূর চোখ গেছে এখানেই উৎসাহী মানুষের ভিড়। গত ২ বছর অতিমারির কারণে বন্ধ থাকার পরে এবার হচ্ছে কার্নিভাল (Carnival)। কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ মর্যাদা পাওয়ার পরে এবছর কার্নিভালের বাড়তি গুরুত্ব।

পুলিশের ডেয়ার ডেভিল বাহিনীর স্টান্ট দিয়ে শুরু হয় কার্নিভাল। বাইকের উপর পুরহিত থেকে শুরু করে ঢাকি, এমনকী সপরিবারে মা দুর্গা-সহ সিংহ নিয়ে অধিষ্ঠান করছেন বাইকে। এরপরই ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের গ্রুপ ‘দীক্ষা মঞ্জরী’র নৃত্যনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ও সুরে গাওয়া গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে তারা। প্রতিটি পুজো কমিটির জন্য ৩ মিনিট করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার সময় দেওয়া হয়েছে। যে যার নিজস্ব থিমের ওপর অনুষ্ঠান করছে। পুজো কমিটি পিছু ঢাকি, শিল্পী-সহ ৫০ জনের বেশি প্রতিনিধি রয়েছেন। পুজো কমিটি পিছু ৩টি করে ট্রেলার দেওয়া হয়েছে। একের পর এক ট্যাবলো সঙ্গে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রেড রোড যেন উৎসব সরণি।

Previous articleফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা,একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা
Next articleভেঙ্গে যাওয়া সংসার জুড়তে বান্ধবীই এখন সতিন