পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোন লক্ষণ নেই বরং উত্তরোত্তর আরও সংকটজনক হচ্ছে টাকার দাম। সোমবার মার্কিন ডলারের( dollar) তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার(Indian rupee) দাম আরো নিচে নামলো। এক ডলারের অনুপাতে ৮২ টাকা পেরিয়ে গেল টাকার দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম ব্যারেল পিছু ১০০ ডলারে পৌঁছে যাওয়া এবং আমেরিকায় চাকরির ডেটায় আক্রমণাত্মক হার বৃদ্ধির কারণেই এই পরিস্থিতি বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার ডলার পিছু টাকার দাম ৮২.৩৩ ছিল। এদিন সকালে বাজার খোলার সময় তা ৮২.৭২-তে পৌঁছে যায়। পরে তা বেড়ে প্রথমে ৮২.৬৯ এবং আরও পরে ৮২.৬৭ -এর গিয়ে দাঁড়ায়। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টাকার দাম ঠিক রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার থেকে তার বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার পরেও টাকার দামে পতন এবং সোমবার তা সর্বনিম্নে পৌঁছে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে আরবিআই বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ভাণ্ডার থেকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ব্যয় করার পরেও টাকার দামের পতন আটকানো যায়নি। টাকার মূল্যের এমন পতন স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম। অবশ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, অপরিশোধিত তেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার আশঙ্কা, বিদেশি বিনিয়োগের অভাবের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক কারণেই টাকার মূল্যে রেকর্ড পতন। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু চলতি বছরেই টাকার দাম ১০.৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। গত ৮ বছরে এই পতনের অঙ্কটা ২৫ শতাংশের বেশি।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এক ডলারের (Dollar) দাম ছিল ৬৩ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ টাকা ৭৯ পয়সা। ২০১৯ সালের শেষদিনে দেখা যায় ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম ৭০-র গণ্ডি ছাড়ায়। করোনা কালের পর এই বিনিময় মূল্য ৭০ টাকার আশপাশে ছিল। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই মন্দা ভারতীয় মুদ্রা বাজারে। ক্রমশ পড়ছে ভারতীয় মুদ্রার দাম। যা অর্থনীতির জন্য বড়সড় উদ্বেগের খবর।