আর্থিক তছরুপের অভিযোগ! রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডির, পাল্টা কেন্দ্রকে তুলোধনা সাংবাদিকের

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম (Online Crowd Funding Platform) ‘কেট্টো’র (Ketto.org) হাত ধরে রানা আয়ুব প্রচুর পরিমাণ অর্থ জনসাধারণের থেকে অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।

আর্থিক তছরুপের (Money Laundering Case) অভিযোগ। সাংবাদিক রানা আয়ুবের (Journalist Rana Ayub) বিরুদ্ধে চার্জশিট (Chargesheet) পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পিএমএল-এর (Prevention of Money Laundering Act) আওতায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চার্জশিটে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বুধবারই উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের (Gaziabad) এক আদালতে রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

গত ১২ অক্টোবর সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম (Online Crowd Funding Platform) ‘কেট্টো’র (Ketto.org) হাত ধরে রানা আয়ুব প্রচুর পরিমাণ অর্থ জনসাধারণের থেকে অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের তদন্তভার হাতে পায় ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগ, রানা আয়ুব সাহায্যের নাম করে ওই টাকা অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি ইডির চার্জশিটে আরও জানান হয়েছে, শুধুমাত্র প্রতারণার কারণেই রানা ওই টাকা নিতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) ও এফডি (Fixed Deposits) সংক্রান্ত একাধিক বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা (Fraud) করেছেন বলে অভিযোগ ইডির।

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, অসমের বন্যাত্রাণ (Assam Flood) থেকে শুরু করে করোনা আক্রান্তদের সাহায্য করা সহ একাধিক উদ্দেশ্যে ওই ফান্ডিংগুলি (Funding) শুরু করেছিলেন তিনি। এইভাবে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা তিনি জোগাড়ও করেছিলেন। এর মধ্যে বিদেশি মুদ্রায় পেয়েছিলেন ৮০ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা। পরে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন ওই ফান্ডের টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন তিনি। এছাড়াও নতুন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানেও ৫০ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন। এদিকে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ইডি রানার নামে লুক আউট (Lookout Notice) নোটিশ জারি করে। ইতিমধ্যে তাঁর বিদেশ সফরেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

তবে বরাবরই মোদি-শাহর কড়া সমালোচক এই সাংবাদিক। গুজরাট ফাইলস (Gujrat Files) নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই লাইমলাইটে এসেছেন। এবার সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই বড়সড় অভিযোগ আনল ইডি। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা। তিনি আগে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, যত টাকা জমা পড়েছিল তার সবেরই হিসেব তাঁর কাছে রয়েছে। টাকা আত্মসাতের কোনও প্রশ্নই ওঠেনা। তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। আর সেকারণেই ইডি, সিবিআইকে (CBI) স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে।

 

Previous articleবিক্ষোভ দেখাতেই হস্তক্ষেপ নেতৃত্বের, বিরোধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি ভোট বুঝিয়ে আনতে হবে
Next articleসুকান্তর মামলার প্রেক্ষিতে অভিষেককে ‘ক্লিনচিট’ কলকাতা পুলিশের