কাটল জট, রাজ্যে ২২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ছাড়পত্র মিলল

রাজ্যের নয়া শিক্ষক নিয়োগের পথে আরও একধাপ এগোল স্কুল শিক্ষা দফতর। নয়া শিক্ষক নিয়োগের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শূন্যপদের তালিকা তৈরি করে রোস্টার তৈরি করার জন্য পাঠিয়েছিল অনগ্রসর কল্যাণ দফতরকে।  বুধবার সেই ২২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য রোস্টার তৈরি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে  পাঠিয়ে দিল অনগ্রসর কল্যাণ দফতর। অর্থাৎ এর পরবর্তী ধাপে নিয়োগের বিধি প্রস্তুত হয়ে গেলেই নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই নয়া নিয়োগের জন্য বিধি চূড়ান্ত করার বিষয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন:SSC: ২০ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য

স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, স্কুলে নবম-দশম স্তরে শূন্যপদের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৪২। একাদশ-দ্বাদশ স্তরে ৫ হাজার ৫২৭ এবং প্রধান শিক্ষক পদে শূন্যপদের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৫। সবমিলিয়ে মোট ২১ হাজার ৬৯৪টি শূন্যপদের তালিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে পাঠিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই শূন্যপদগুলির মধ্যে সংরক্ষণের নিয়ম মেনে কোন কোন ক্যাটেগরিতে কত সংখ্যক শূন্যপদ থাকবে, তার তালিকা তৈরি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি-এ, ওবিসি-বি এই ক্যাটেগরিগুলিতে কতগুলি করে শূন্যপদ থাকবে, সেই তালিকার পোশাকি নাম শূন্যপদের রোস্টার। সেই রোস্টার গত ২১ সেপ্টেম্বর অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাত্র ২০ দিনের মাথায় অর্থাৎ গত ১১ অক্টোবর সেই রোস্টারে অনুমোদন দিল অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর।  ফলে, প্রায় ২২ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া  শুরু করায় আর কোনও বাধা রইল না।

সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই নবম-দশম, একাদশ- দ্বাদশ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিধি প্রস্তুত করে ফেলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।  সেই বিধি বিজ্ঞপ্তি আকারে স্কুল শিক্ষা দফতর জারি করার পরপরই স্কুল সার্ভিস কমিশন এই ২২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেবে।

চলতি বছর ১ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেছিলেন, ২১ হাজার শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা খুব দ্রুত নতুন নিয়োগের দিকে যাচ্ছি। লিঙ্গ, জাতি, পদ-প্রত্যেকটি ক্যাটেগরি নির্ভুল রেখে শূন্যপদের রোস্টার তৈরির কাজটা করতে আমাদের মাসখানেক সময় লাগবে।’’ সংরক্ষণের নিয়ম মেনে শূন্যপদের রোস্টার তৈরি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা ছিল। তা কাটাতে দফায় দফায় স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। অবশেষে সেই জটিলতা কাটল।

Previous articleদিল্লিতে আইবি আধিকারিক খু*নে ২ বছর পর গ্ৰেফতার মূল অপরাধী
Next articleসভাপতির পদ ছেড়ে এবার অন‍্য ভূমিকায় দেখা যাবে মহারাজকে, ইঙ্গিত দিলেন স্বয়ং নিজেই