টার্গেট করুন বিকল্প সরকারের নেতৃত্ব যাতে তৃণমূল দিতে পারে : কুণাল

বিজেপির পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল সংসদে তৃণমূলকে করতে হবে, যাতে বিকল্প সরকারের নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেস দিতে পারে।

করণদিঘী বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা চেষ্টা করব অবিজেপি, গণতান্ত্রিক, জনমুখী নীতির একটা বিকল্প সরকার তৈরি করতে। তাতে পশ্চিমবঙ্গ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আমরা অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। জ্যাকেট পড়া প্রধানমন্ত্রী দেখেছি, সুট টাই পরা প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। আসুন এবার এমন একজনকে প্রধানমন্ত্রী করি, শাড়ি আর হাওয়াই চপ্পল পড়া মহিলা ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। বিজেপির পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল সংসদে তৃণমূলকে করতে হবে, যাতে বিকল্প সরকারের নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেস দিতে পারে। পঞ্চায়েতে বিজেপিকে মুছে দিতে হবে। টার্গেট করুন বুথে বুথে মানুষকে এমন ভাবে বোঝাতে হবে যাতে বিজেপি প্রার্থী খুঁজে না পায়।

একই সঙ্গে কুণাল বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে।লাগামছাড়া জিএসটি । মানুষের উপর চাপ বাড়ছে, এই হচ্ছে বিজেপি সরকার। অন্যদিকে যারা ব্যাংকের সঞ্চয়ের উপর নির্ভরশীল তাদের বিপদে ফেলতে ব্যাংকে সুদ কমছে। সমস্ত সরকারি সংস্থাগুলোকে বিক্রি করে দিচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম একটা সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা থেকে চাল, ডাল, আলু, ভোজ্য তেল এগুলো বাদ দিয়ে দিল!

এমন একটা কৃষিনীতি করল যে এক বছর ধরে কৃষকরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে। আর সেই আন্দোলন তোলার জন্য বিজেপির মন্ত্রীর ছেলে জিপ দিয়ে পিষে মেরে ফেলল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছে আর বলেছে আবকি বার দুশো পার। তখন মানুষ বোঝেননি আসলে ২০০ পার বলেছে পেট্রোলের দামটা বাড়াবে বলে।মজুত করার আইন এতটাই শিথিল করে দিয়েছে যে যদি কোথাও খোঁজও পান যে প্রচুর জিনিস মজুত করা আছে, তাতেও কিছু যাবে আসবে না। রাজ্যের পুলিশ যখন  যাবে কেন্দ্রের আইন দেখিয়ে বলে দেবে সব শিথিল করে দেওয়া হয়েছে, আমরা কতটা মজুত করতে পারি আপনারা জানেন না।

অন্যদিকে আর এ রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে। রাস্তা, জল, আলো, বিদ্যুৎ সবক্ষেত্রে উন্নয়ন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, দুয়ারে সরকার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কর্মসূচি। রাজ্যের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে যে কোনও প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পাশে দাঁড়িয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে দাঁড়িয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপি হেরে গিয়ে এখন কীভাবে ক্ষতি করা যায় সেই পথ নিয়েছে। টাকা বন্ধ করে দাও, এজেন্সি লাগাও। পঞ্চায়েতে বিজেপিকে মুছে দিতে হবে। সোমবার বিজয়া সম্মিলনীতে সদস্য সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গান ও নাচের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্য মাত্রা দিয়েছিল পুরো সমাবেশকে।তিনি বলেন, কোনও গায়ের জোড়ে নয়,ভয় দেখিয়ে নয়।বিরোধীদের যারা ভোট দেয় তাদের বাড়ি একাধিকবার যান। উন্নয়নের প্রকল্পগুলোর সুবিধা পাচ্ছে কিনা জানুন।দেখবেন একটি ভোটও বিজেপির দিকে যাবে না।

 

Previous articleহলদিয়া রিফাইনারিতে ভয়াবহ বিস্ফো*রণ, গুরুতর জখম ৩ শ্রমিককে আনা হল কলকাতায়
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস