প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

২৬৯ জনেরই চাকরি বহাল রাখতে হবে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। সুযোগ না দিয়েই একতরফাভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের হাইকোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ‘কারও চাকরি বাতিল করা যাবে না। চাকরি থেকে কাউকে বরখাস্ত নয়। ২৬৯ জনেরই চাকরি বহাল রাখতে হবে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। সুযোগ না দিয়েই একতরফাভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বেআইনি। এই মর্মে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। একইসঙ্গে তাঁদের সকলের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে নির্দেশের বিরুদ্ধে পালটা আবেদন হয় ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়-ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

সেই সময় ডিভিশন বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানায় যে, সিবিআই-এর রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে অনেকেই টেট ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ২৬৯ জনকে কোনওভাবেই চাকরিতে পুনর্বহাল নয়। এককথায় ২৬৯ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে সিলমোহর দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ। কেন ২৬৯ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তা আজ পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। OMR শিট সহ একাধিক নথি সিঙ্গল বেঞ্চের সামনে পেশ করেনি পর্ষদ।

মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত আপাতত মান্যতা দিয়েছে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ২৬৯ জনের দাবিকে। উচ্চ আদালতের রায়ের উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সিবিআই তদন্তে কোনও বাধা দিল না শীর্ষ আদালত। যদিও সিবিআইকে বলা হয়েছে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে।

 

Previous article২০২৩ সালে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান যাবে না ভারতীয় দল, জানিয়ে দিলেন বোর্ড সচিব
Next articleঅপসারণে স্থগিতাদেশ, সিবিআইয়ের গ্রেফতারিতেও না: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মানিকের