ভারতের প্রতিরক্ষা কেন্দ্র হবে গুজরাট! গান্ধীনগরে নয়া বায়ুসেনা ঘাঁটির উদ্বোধনে প্রত্যয়ী মোদি

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মোদি বলেন, মহাকাশ প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণায় নতুন প্রজন্মের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এর ফলে দেশের পাশাপাশি তাঁদের ভবিষ্যতও উজ্জ্বল হবে।

দিওয়ালির আগে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে গুজরাট (Gujarat) সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার গান্ধীনগরে ডেফএক্সপো ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন‘৫২ উইং এয়ার ফোর্স স্টেশন’ (52 Wing Airforce Station) ‘দিশা’র, যা পাকিস্তান সীমান্তে দেশের বৃহত্তম বায়ুসেনা ঘাঁটি হয়ে উঠতে চলেছে। এর জন্য খরচ হবে ১ হাজার কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌসেনাও এই ঘাঁটি কাজে লাগাবে। আগামী ২১ মাসের মধ্যে ‘দিশা’র সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে।

বুধবার‘ডেফএক্সপো’-তে ‘মিশন ডেফস্পেস’-এরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মোদি বলেন, মহাকাশ প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণায় নতুন প্রজন্মের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এর ফলে দেশের পাশাপাশি তাঁদের ভবিষ্যতও উজ্জ্বল হবে। নয়া বিমানঘাঁটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন এই বিমানঘাঁটি দেশের নিরাপত্তার জন্য একটি কার্যকর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। মোদি আরও জানান, ভারতের প্রতিরক্ষা কেন্দ্র হয়ে উঠবে গুজরাট। পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই রাজ্য। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও গান্ধীনগরে ‘ডেফএক্সপো’-তে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। রাজনাথ জানান, ডেফএক্সপো প্রমাণ করছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তি বাড়ছে ভারতের। এটাই ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রধান লক্ষ্য।

অন্যদিকে, চলতি বছরেও দীপাবলিতে (Diwali) ভারতীয় সেনার (Indian Army) সঙ্গে আনন্দ-উৎসবে মাতবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তার আগে ২১ অক্টোবর কেদারনাথে পৌঁছবেন নমো। সেখানে তিনি পুজো দেবেন। এছাড়াও কেদারনাথ প্রকল্প (Kedarnath Project) ও বদ্রীনাথ মাস্টার প্ল্যানের (Badrinath Master Plan) কাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বদ্রীনাথ মন্দির (Badrinath Temple) দর্শনে যাবেন নমো।

 

Previous articleটাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়ে ছিল: বি*স্ফোরক দাবি মমতার
Next articleরাজ্যের সাফল্য: ঘুচলো বাংলার ‘দরিদ্র’ তকমা, প্রকাশ্যে অক্সফোর্ডের রিপোর্ট