চাকরীপ্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হচ্ছে রোজকার কাজ, আদালতের দ্বারস্থ পর্ষদ

কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। এখনও আন্দোলনের অনড় ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।সল্টলেকের রাস্তায় চলছে আমরণ অনশন।তবে এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাজ। এমনকি পর্ষদের কর্মীদের অফিসে ঢুকতেও বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।তাই এই ধরনার বিরোধিতা করে আজ, বুধবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

আরও পড়ুন:বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি অনায্য, জানালেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অভিযোগ, আন্দোলনের জেরে দফতরে ঢুকতে পারছেন না কর্মীরা। ফলে পর্ষদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতেও কলকাতা হাই কোর্টের কছে আবেদন জানানো হয়েছে।ধরনার বিরোধিতা করে দায়ের করা মামলার দ্রুত শুনানির আরজির জানিয়েছিল তারা। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্ট তাদের সেই আরজি খারিজ করে দেয়।বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “এত দ্রত শুনানির কী আছে? এতদিন আন্দোলন চলছে, আর এক দিন চললে এমন কী অসুবিধা হবে?” এরপর পর্ষদকে মামলা দায়ের করে আদালতে আসার নির্দেশ দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবন এলাকা। চাকরির দাবিতে বিক্ষোভে অনড় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।প্রাথমিকভাবে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।তা সত্ত্বেও অবস্থান তুলতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিয়েছেন, নিয়ম ভেঙে তাঁদের নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, “এরা কেউ প্যানেলভুক্ত হননি। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি আইনসম্মত নয়।” তারপরেও আন্দোলন তোলেননি চাকরিপ্রার্থীরা। এবার তাঁদের আন্দোলন তুলতে কোর্টে গেল পর্ষদ।

Previous articleসায়েন্স সিটি-নিক্কো পার্ক থেকে জাদুঘর-ভিক্টোরিয়া, এক টিকিটে তিলোত্তমা ভ্রমণ
Next articleপ্রচুর ‘বেনিয়ম’, ফলাফলের আগেই সরব থারুর