আমাদের জন্যই জমিরক্ষা আইন আনতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র: সিঙ্গুর ইস্যুতে ফের সরব মমতা

“টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে”। মালবাজারে মুখ্যমন্ত্রীর(Chief Minister) এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা যখন কুৎসা শুরু করেছে ঠিক সেই সময় পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সিঙ্গুর আন্দোলন(Singur Protest) প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, “আমাদের একটাই দাবি ছিল জোর করে কৃষকদের দোফসলি, তিনফসলি জমি নেওয়া যাবে না। আমাদের এই আন্দোলনের জন্যই জমিরক্ষা আইন আনতে বাধ্য হয়েছে ভারত সরকার।”

বৃহস্পতিবার জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সিঙ্গুর ইস্যুতে সিপিএম ও টাটাদের একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আপনারা তাপসী মালিকের মতো মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছেন। কৃষকদের পুড়িয়ে মেরেছেন। টাটারা তো আমাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল নির্বাচনের সময়। আমরা কোনওদিন কিছু বলিনি।” এরপরই তিনি বলেন, “আমাদের একটাই দাবি ছিল জোর করে কৃষকদের দোফসলি, তিনফসলি জমি নেওয়া যাবে না। আমাদের এই আন্দোলনের জন্যই জমি রক্ষা আইন আনতে বাধ্য হয়েছে ভারত সরকার। আমরা বাংলায় আজও যদি কিছু করি, সব সময় আগে জমি দাতাদের কথা শুনি।”

এরপর রাজ্যে নয়া আইন মেনে জমি নেওয়ার পদ্ধতির উদাহরণ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে দেউচা-পচামীর সঙ্গে তুলনা করছেন। দেউচার প্রজেক্টে কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে। এটা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা কেন্দ্র। গর্ব হওয়া উচিত। আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় কয়েকশো ছেলেমেয়েদের চাকরি দিয়েছি ওখানে। তাঁদের বাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে। এই শনিবার আরও তিনশো ছেলেমেয়েদের চাকরি দেওয়া হয়।” রাজ্যের শিল্পনীতির উদাহরণ টেনে তিনি আরও জানান, “আমরা জঙ্গলমহল সুন্দরী, ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট করছি। ডানকুনি থেকে পানগড়, পানগড় থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত ট্রেড করিডর হচ্ছে।”

একসুরে কেন্দ্রের মোদি সরকার ও রাজ্যের বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, “ভারতবর্ষে ৪০ শতাংশ বেকার বেড়েছে। কর্মসংস্থান কমেছে। সেখানে বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়ে গিয়েছে। ৪০ শতাংশ দারিদ্রতা কমে গিয়েছে। আগামীতে আরও হবে। দেখতে থাকুন। ওরা দেখবে আর লুচির মতো ফুলবে। ফানুসের মতো উড়ে যাবে। করার ক্ষমতা নেই বড় বড় কথা।” প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ সফর সেরে বৃহস্পতিবার শহরে ফিরে চারটি ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেগুলি হল, জানবাজার সম্মিলিত কালী পুজো, ইয়ুথ ফ্রেন্ডস ক্লাব, ইন্ডিয়ান ক্লাব ও ভেনাস ক্লাব।

Previous articleপাকিস্তানে ভারতের এশিয়া কাপ খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রামিজ রাজা
Next article“ওনার মস্তিষ্ক ঠিক নেই”, সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে সমর্থন করে “মাস্টারমশাই”-কে খোঁচা দিলেন বেচারাম