বাজি নিষেধের জের! কেজরিওয়ালকে ‘ঔরঙ্গজেব’-র সঙ্গে তুলনা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন বিজেপি নেতার

শুক্রবার কেজরিকে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা বলেন, ঔরঙ্গজেবের মতো কেজরিওয়ালও বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তবে শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণেই সীমাবদ্ধ থাকেননি বাগ্গা। শুক্রবার সদলবলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তিনি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Aravind Kejriwal) ‘ঔরঙ্গজেব’ (Aurangzeb)-এর সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader) তাজিন্দর পাল সিং বাগ্গা (Tajinder Bagga)। শুক্রবার কেজরিকে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা বলেন, ঔরঙ্গজেবের মতো কেজরিওয়ালও বাজি নিষিদ্ধ (Crackers Banned) ঘোষণা করেছেন। তবে শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণেই সীমাবদ্ধ থাকেননি বাগ্গা। শুক্রবার সদলবলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ (Protests) দেখান তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি এদিন কেজরিওয়ালকে হিন্দু বিরোধী (Anti Hindu Chief MInister) বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ওই বিজেপি নেতা। এদিন দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের পাশাপাশি দিল্লির নব নিযুক্ত মন্ত্রী রাজ কুমার আনন্দের (Raj Kumar Anand) বাসভবনের (Residence) সামনেও শব্দ বাজি ফাটিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন তাজিন্দর।

গত ১৯ অক্টোবর দিল্লি সরকার (Delhi Government) দিওয়ালিতে (Diwali) বাজি ফাটানোর অপরাধে ২০০ টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে। তারপরই দীপাবলি উপলক্ষে দিল্লিতে বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। আর এই দুই কারণেই দিল্লি তথা আপ সরকারের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব, এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়েছে আম আদমি পার্টির তরফে। উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই দূষণ এড়াতে দিল্লিতে বাজি তৈরি, মজুত, বিক্রি এবং বন্টন নিষিদ্ধ করেছে দিল্লি সরকার। এবারও সেই নিয়ম বলবৎ রেখেছে আপ। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ (Challenge) জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির বিজেপি নেতা সাংসদ মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari)। বৃহস্পতিবার মামলার জরুরি শুনানি চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন মনোজ। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, মিষ্টি কিনতে টাকা খরচ করুন, মানুষকে নিশ্বাস নিতে দিন।

এদিকে বৃহস্পতিবারই বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করেছেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই (Gopal Rai)। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে, কড়া শাস্তিরও বার্তা দিয়েছেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী। এদিকে সামনেই দীপাবলি। আর সেকারণেই ঘুম উড়ছে দিল্লিবাসীর। রাজধানীতে দীপাবলি মানেই, প্রতিবছর দূষণের বাড়বাড়ন্ত। তা সত্ত্বেও প্রতিবছর রাজধানীজুড়ে পোড়ানো হয় কোটি কোটি টাকার বাজি। অভিযোগ, একাধিক নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে অবাধে বাজি পোড়ানো ও দেদার বিক্রি। এবার তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। অন্যদিকে, এবিষয়ে নিষেধাজ্ঞাকেই মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টও। তবে দিল্লির হিন্দুদের আলোর উৎসবে সামিল হওয়ার দাবি জানিয়েছেন দিল্লির বিজেপি নেতা বাগ্গা। বিজেপির অভিযোগ, বছরের একটা দিন দিল্লি তথা সমস্ত দেশের মানুষই আলোর উৎসবে মেতে ওঠেন। কিন্তু আপ সরকার সেবিষয়টি নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। একেবারে সমস্ত রকমের বাজি নিষিদ্ধ করে দেওয়া সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণার বলেও দাবি তাঁদের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দিওয়ালির পর দিল্লি জুড়ে যে মারণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার চেয়ে বাজিতে নিষেধাজ্ঞাই দিল্লিবাসীর কাছে মঙ্গলের।

Previous articleসিত্রাং মোকাবিলায় বিদ্যুৎ ভবনে কন্ট্রোল রুম : উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নির্দেশ বিদ্যুৎমন্ত্রীর
Next articleধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ঘিরে কঠোর সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের