সভ্যতা যত এগিয়ে চলেছে তত বেশি করে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তার (Hateful Conversation)ঝোঁক বাড়ছে। ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে এটা কখনই কাম্য নয়। ধর্মকে শিখণ্ডী করে নানা প্ররোচনা মূলক কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে ইদানিং কালে। যার জেরে কখনও আবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরেও ছলে যাচ্ছে। এবার এই সব কিছু কড়া হাতে দমনের সিদ্ধান্ত নিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
সিত্রাং মোকাবিলায় বিদ্যুৎ ভবনে কন্ট্রোল রুম : উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নির্দেশ বিদ্যুৎমন্ত্রীর
শুক্রবার দিল্লিতে (Delhi)সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয় যে ধর্ম নির্বিশেষে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বাড়বাড়ন্তকে অবিলম্বে আটকানো প্রয়োজন। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফের (K M Joseph)বেঞ্চ বলেন এই সময়ে দাঁড়িয়ে যেভাবে দেশে বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন যে, ভারতের সংবিধান বৈজ্ঞানিক মানসিকতার বিকাশের কথা বলে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)জানিয়েছে ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে প্রতিমুহূর্তে যে ধর্ম বিদ্বেষী মানসিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ করার আবেদন নিয়ে একটি শুনানি চলছে। শুনানির সময় আবেদনকারীর পক্ষে কপিল সিব্বল (Kapil Sibbal) বলেন, অনেক অভিযোগ দায়ের করা হলেও আদালত বা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সবসময় শুধু স্ট্যাটাস রিপোর্ট চায় সরকারের কাছে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয় না। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানো মানুষজন প্রতিদিনই কোনও না কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। আদালত বলে ঘৃণার জবাবে প্রত্যুত্তরে ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়া কাম্য নয় । বেঞ্চ বলেছে, এটা একবিংশ শতাব্দী, ধর্মের নামে আমরা কোথায় পৌঁছে গেছি? বিচারপতি হৃষিকেশ রায় বলেন, এসব বক্তব্য খুবই বিরক্তিকর। তাঁর মতে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিষয় হলে তা দেখা আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে কতটা পড়ে তা দেখে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ধর্মনিরপেক্ষ দেশের জন্য এই সময়টা খুবই মর্মান্তিক। যে কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য শোনা যায়। আদালতের এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি।মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদানকারী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইউএপিএ-এর (UPA) অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।