বাংলা নয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আছড়ে পড়বে বাংলাদেশে

বাংলাদেশের তিনকোণা ও সন্দীপ দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও জায়গায় আছড়ে পড়বে সিত্রাং। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে

দীপাবলি-কালীপুজোর আগে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর শোনালো আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমবঙ্গ নয়,বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আজ, শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাওয়া অফিসের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের তিনকোণা ও সন্দীপ দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও জায়গায় আছড়ে পড়বে সিত্রাং। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে। যত সময় গড়াবে তত শক্তিশালী হবে এই নিম্নচাপ। তবে শক্তিবৃদ্ধি করে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা সিভিয়ার সাইক্লোনের সম্ভবনা আপাতত নেই। কেবল সাইক্লোনিক স্টর্ম হিসেবেই সিত্রাং ভূখণ্ড প্রবেশ করবে।

আজ, ২২ অক্টোবর নিম্নচাপের অবস্থান সাগরদ্বীপ থেকে ১৪৬০ কিমি দুরে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ। এই মুহূর্তে তার অভিমুখ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমমুখী। আগামিকালও ওই একই অভিমুখে এগোতে থাকবে সে। এরপর আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ওই একই অভিমুখে বেঁকে ২৪ অক্টোবর নাগাদ মধ্য বঙ্গোপসাগরে অর্থাৎ সমুদ্রে থাকাকালীনই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে সিত্রাং। এই গতিতে চলতে থাকলে আগামী ২৫ অক্টোবর সকালে তিনকোণা ও সন্দীর দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও এলাকা দিয়ে মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে।

সিত্রাং পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে মৎসজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাঁদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছেন তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

এখনও অবধি যা পরিস্থিতি তাতে অনুমান করা হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘুর্ণিঝড়ের সর্বাধিক প্রভাব পড়তে চলেছে। দুই ২৪ পরগণা জেলায় ২৪ অক্টোবর থেকেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ৪৫ থেকে সর্বাধিক ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

 

Previous articleদীপাবলির প্রাক্কালে বিষ ছড়াল দিল্লির বাতাসে, কৃষকদের খড় পোড়ানো নিয়ে বাড়ছে সমস্যা
Next articleনাগরিক মঞ্চের আড়ালে সিপিএমের মিছিল, কেন গোয়েবলসিও মিথ্যাচার? উঠছে প্রশ্ন