সিত্রাং: ৭ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, দিঘা থেকে সুন্দরবন- সতর্ক প্রশাসন

তবে সোমবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৭টি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। আগামী বুধবার পর্যন্ত খাকবে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে।

রবিবার সন্ধের পর থেকেই শুরু হয়েছিল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। সারা রাত ধীর গতিতে ব্যাটিংয়ের পর সোমবার সকালেও জারি বর্ষণ। মুষলধারে না হলেও দিনভর জারি রয়েছে অস্বস্তির বৃষ্টি। কলকাতা (Kolkata) সহ গোটা দক্ষিনবঙ্গের আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। তবে শুধু বৃষ্টি বললে ভুল হবে, জারি রয়েছে দমকা হাওয়াও। তবে সময় যত গড়াচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে (Coastal Area)। দক্ষিনবঙ্গের সুন্দরবন (Sunderban), গোসাবা (Gosaba) এলাকাতে ইতিমধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rainfall) শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ফুলে ফেঁপে উঠছে দিঘার (Digha) সমুদ্রের ঢেউ। বাড়ছে দমকা হাওয়ার দাপটও। কালীপুজোর (Kali Puja) ছুটির দিনেও কার্যত শুনশান দিঘা (Digha), মন্দারমণি (Mandermoni), তাজপুর (Tajpur) সহ একাধিক সমুদ্র সৈকত।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সিত্রাং (Sitrang) এবং অমাবস্যার জোড়া কটালের জেরে, রাজ্যের একাধিক সমুদ্রে ৬ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য আগাম সতর্কতা (Alert) জারি করা হয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। আর সেই সতর্কতাকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত প্রশাসন। তবে ইতিমধ্যেই সুন্দরবনে ঝড়ের সঙ্গে দাপট বাড়তে শুরু করেছে বৃষ্টি। বিশেষ করে সুন্দরবনের রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত, কুমিরমারি, ছোট মোল্লাখালি, কঁচুখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নদী বাঁধের অবস্থা বেশ খারাপ। আর সেকারণেই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গ্রামবাসীরা। তবে সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে NDRF দলকে। পাশাপাশি রবিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) অবস্থিত একাধিক নদীতে বাড়ছে জলস্তর। আর সেকারণেই সুন্দরবনের গোসাবাতে ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি সার্ভিস (Ferry Services)। পাশাপাশি ফুঁসছে মাতলা নদীও। তবে প্রশাসনের তরফে মৎসজীবীদের নদীতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।

তবে সোমবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৭টি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। আগামী বুধবার পর্যন্ত খাকবে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। এই সাত জেলার মধ্যে রয়েছে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা। এর মধ্যে কোন কোন জেলায় কতটা বৃষ্টি বিপর্যয় হবে তা-ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।

তবে দিঘায় সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে। মেঘলা আকাশের পাশাপাশি হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। এর মধ্যেই উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে সমুদ্রস্নানের ঘাট গুলিতে দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার পাশাপাশি থানা থেকে লাগাতার মাইকে প্রচারও চালানো হচ্ছে। সকাল থেকে দিঘায় মেঘলা আকাশ। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামা নিষেধ। মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-কে।

Previous articleকালীপুজো ও দীপাবলিতে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট মমতার
Next articleভাটপাড়ায় গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল নেতা