জেনে নিন কালী পুজোর নির্ঘণ্ট ও মাহাত্ম্য

অমাবস্যায় মাঝ রাতে কালীর আরাধনা করা হয়। উত্তর ভারতে কালী পুজোর দিনে লক্ষ্মী-গণেশ পুজো করা হয়ে থাকে।

রাত পোহালেই কালীপুজো। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো হয়। কালী শ্যাম বর্ণের হওয়ায় একে শ্যামা পুজোও বলা হয়ে থাকে। অমাবস্যায় মাঝ রাতে কালীর আরাধনা করা হয়। উত্তর ভারতে কালী পুজোর দিনে লক্ষ্মী-গণেশ পুজো করা হয়ে থাকে। আবার পশ্চিমবঙ্গের বহু ঘরে এই তিথিতে দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজো করা হয়।

এবারের কালী পুজোর তারিখ ও সময় জেনে নিন-

কালী পুজোর তারিখ- ২৪ অক্টোবর ২০২২, সোমবার।

অমাবস্যা তিথি- ২৪ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৪টা ৫৭ মিনিট ৬ সেকেন্ড থেকে ২৫ অক্টোবর দুপুর ৪টা ২৬ মিনিট ২৬ সেকেন্ড পর্যন্ত থাকবে।

অমৃত যোগ- সকাল ৭টা ২০ মিনিট রাত ৩টে ১৬ মিনিট পর্যন্ত।

দেবী কালীর পুজোর বিশেষ মন্ত্র

প্রার্থনা মন্ত্র

এষ ধুপঃ ওম ক্রী কাল্ল্যৈ নমঃ

প্রণাম মন্ত্র

ওম ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হিং হিং দক্ষিণে কালীকে ক্রীং ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হৃীং হৃীং হৃীং স্বহা। ওম কালী কালী মহাকালী কালীকে পাপহারিণীধর্মার্থমোক্ষদে দেবী নারায়ণী নমোস্তুতে।

কালীপুজোর মাহাত্ম্য

শক্তি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেবী কালী। সংহারের অধিপতি শিব এবং সংহারের অধিষ্ঠাত্রী হলেন কালী। শুম্ভ-নিশুম্ভের বধের সময় তাঁর শরীর থেকে একটি রশ্মিপুঞ্জ নির্গত হয়, এর ফলে তাঁর রঙ কালো হয়ে যায়। তাই তাঁর নাম হয় কালী।

কেন করবেন কালীপুজো ?

কালীর পুজো করলে ভয় দূর হয়, আরোগ্য লাভ করা যায়। এর পাশাপাশি ব্যক্তি আত্মরক্ষা করতে পারে ও শত্রুদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কালীর উপাসনা করলে তন্ত্র-মন্ত্রের প্রভাব সমাপ্ত হয়। কালীর পুজো রাতেরবেলায় করা হয়। রাহু, কেতু ও শনির শান্তির জন্য কালী পুজোকে বিশেষ কার্যকরী মনে করা হয়।

মনে রাখবেন, কালীর পুজো দুধরনের হয় সাধারণ পুজো ও তন্ত্র পুজো। যে কোনও ব্যক্তি সাধারণ পদ্ধতিতে পুজো করতে পারে। কিন্তু গুরুর তত্বাবধান ছাড়া তন্ত্র পুজো করা যায় না। মাঝরাতে কালীর পুজো করা হয়। কালীর পুজোয় লাল ও কালো বস্তুর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। শত্রু ও বিরোধীদের শান্ত করার জন্য কালীর পুজো করা হয়ে থাকে।

Previous articleকেমন আছেন সলমন রুশদি?
Next articleপ্রয়াত ধনকুবের ডিত্রাইশ মাতেশিৎজ! মোটর স্পোর্টের দুনিয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি