প্রাচীনকালে হ্যাংওভার কাটানোর দাওয়াই কী? খোঁজ পেয়ে তাজ্জব গবেষকরা

এক মাস ধরে উৎসব। এবার প্রায় শেষ লগ্নে। উৎসবের সময় খাওয়ার পাশাপাশি অনেকের ক্ষেত্রেই পানটাও একটু বেশি হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় হ্যাংওভার। তবে এটা আধুনিক যুগের সমস্যা নয়, এ সমস্যা অতি প্রাচীন। আর সেই সময়ও এই হ্যাংওভার (Hangover) কাটাতে বিভিন্ন পন্থা খুঁজতেন মদ্যপায়ীরা। এমনকী বাদ যেত না বিশেষ ধরনের আংটি পরাও। সম্প্রতি তেমনই এক আংটি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা (Researchers)।

হ্যাংওভার কাটাতে প্রাচীন রোমান যুগে এক ধরনের আংটি (Ring) ব্যবহারের প্রচলন ছিল। সাধারণত অতিধনী ও ক্ষমতাবানরাই এই ধরনের আংটি পরতেন। সোনার আংটির উপর বসানো থাকত একটি নীলা। সম্প্রতি ইজরায়েলের ইয়াভনে এলাকায় খননকার্য চলাকালীন বাইজেন্টাইন যুগের একটি মদ তৈরির কারখানার খোঁজ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। আনুমানিক সপ্তম শতাব্দীর বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হয়, সে সময়ের সবচেয়ে বড় মদ (Wine) প্রস্তুতকারী কারখানা ছিল সেটি। সেখানে সাদা একধরনের মদ তৈরি হত, যাকে স্থানীয়ভাবে বলা হত গাজা। সেখানে প্রতি বছর ৫ লক্ষ গ্যালন মদ তৈরি করা হত। বিরল আবিষ্কারে উচ্ছ্বসিত গবেষকেরা। কিন্তু তারমধ্যে আরও একটি বিরল জিনিস পেয়ে আনন্দে আত্মহারা আবিষ্কারকরা। সেটি হল সেই হ্যাংওভার কাটানোর আংটি।

সে সময় অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে হওয়া হ্যাংওভার কাটাতে এই আংটি ব্যবহার করতেন ধনীরা। এছাড়া যার আঙুলে এই আংটি থাকত, তিনি সমাজে সম্ভ্রান্ত মানুষ বলে গণ্য হতেন। নীলা তখনকার দিনে খুব দামি পাথর হিসাবে গণ্য না হলেও তার কদর ছিল। মদের নেশা কাটাতে সেই নীলা সোনার আংটিতে বসিয়ে তা পরতেন ধনীরা। এই আংটিতে কাজ করতো কি না তার উল্লেখ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত মদ্যপানের পরের দিন হ্যাংওভার যে বিব্রত করত তা স্পষ্ট এই আবিষ্কার থেকেই।

Previous articleডেঙ্গি আক্রান্ত অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়, বন্ধ শ্যুটিং-এর কাজ
Next article“লুঙ্গি ছাড়া ওদের কিছু নেই”, অসমে মিঞা মিউজিয়াম বন্ধ করল হিমন্ত সরকার