প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন মহিলা। তড়িঘড়ি সরকারি প্রকল্পের আওতায় থাকা ১০৮ নম্বর ডায়াল করে ভাড়া করা হয় অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তাতে হঠাৎই থেমে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। চালক জানান, ডিজেল শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই গাড়ি আর এগোবে না।অগত্যা মাঝরাস্তাতেই প্রসব করতে বাধ্য হন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায়। চূড়ান্ত এই অব্যবস্থার জন্য আঙুল উঠেছে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের দিকে।
আরও পড়ুনঃবিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে গান্ধীমূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা
রাস্তার মাঝে মা ও সদ্যজাতর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। সেদিনের ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শাহনগর এলাকার কাছে বানওলিতে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। তার পিছনের পাল্লা খোলা, আলো জ্বালানো রয়েছে। পাথুরে রাস্তার উপর কোনও মতে বসে সেখানেই সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন মা। রাস্তায় পেতে দেওয়া হয়েছে একটি চাদর।কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী ওই মহিলাকে সন্তান প্রসবে সহযোগিতা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মহিলার নাম রেশমা। তাঁর প্রসবযন্ত্রণা ওঠায় ১০৮ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন বাড়ির লোকেরা। সেই অ্যাম্বুল্যান্সেই স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রেশমাকে। কিন্তু কিছুটা পথ এগোতেই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক রেশমার পরিবারকে জানান, গাড়ির জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়েছে। এ কথা শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা হয় রেশমার পরিবারের।শেষমেশ উপায় না পেয়ে রাস্তাতেই প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের সদস্যরা।সূত্রের খবর, মা ও বাচ্চা দু’জনেই আপাতত সুস্থ রয়েছে।
