বাম ছাত্রযুবদের বিক্ষোভ ঘিরে বহরমপুরে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিক্ষোভকারীদের

পুলিশের তরফে তৈরি করা হয় ব্যারিকেডও। আর সেই ব্যারিকেড ভেঙে এসপি অফিসের দিকে ডিওয়াইএফআই, এসএফআই-এর ছাত্র যুবরা এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের।

বামদের বিক্ষোভ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বহরমপুরে (Baharampur)। নিয়োগ না পেয়ে এক চাকরি প্রার্থীর আত্মহ*ত্যাকে কেন্দ্র করে সোমবার বাম ছাত্র যুব সংগঠন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বহরমপুরে এসপি অফিসের সামনে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তরফে তৈরি করা হয় ব্যারিকেডও (Barricade)। আর সেই ব্যারিকেড ভেঙে এসপি অফিসের (SP office) দিকে ডিওয়াইএফআই (DYFI), এসএফআই (SFI)-এর ছাত্র যুবরা এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। পরে রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। চলে স্লোগানও।

অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেতে লালগোলা থানার পাইকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সরপাখিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান (Abdur Rahaman) প্রায় সাত লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কান্দি থানার বাগড় পলাশির বাসিন্দা দিবাকর কোনাইকে। ২৭ সেপ্টেম্বর চাকরি না পেয়ে প্রতারিত যুবক কীটনাশক খেয়ে আত্ম*ঘাতী হন বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবার তখন পুলিশকে না জানিয়েই দেহ সমাধিস্থ করেন। তিনদিন পর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত (Postmortem) করা হয়।

এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রেহেসানকে আগেই গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং মৃতের ৯ পাতার সুই*সাইড নোটের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার দক্ষিণ চাতর এলাকার বাসিন্দা প্রজ্ঞান সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। বীরভূম থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত দিবাকরকে। পুলিশের তৎপরতায় একে একে ধরা পড়ে রেহেসান, প্রজ্ঞান এবং দিবাকরও।

তবে পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে নেমে পড়ে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। মূল অভিযুক্তসহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এই বিক্ষোভ কেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কোনও ইস্যু না পেয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বামেরা এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।

Previous articleটুইটারে অ্যাকাউন্ট ‘ভেরিফায়েড’ করতে চাইলে গুণতে হবে টাকা! দায়িত্ব নিয়েই বড় ঘোষণা মাস্কের
Next articleঘড়ি তৈরির সংস্থাকে সেতু সারানোর বরাত! ব্রিজ বিপর্যয়ে উঠছে প্রশ্ন