ঘড়ি তৈরির সংস্থাকে সেতু সারানোর বরাত! ব্রিজ বিপর্যয়ে উঠছে প্রশ্ন

গুজরাটে(Gujrat) ভয়াবহ ব্রিজ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত ১৪০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ৭ মাস ধরে মেরামতি চলার পর মাত্র পাঁচ দিনেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা(Accedent)। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি এর পিছনে রয়েছে বড়সড় দূর্নীতি? নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঘটনায় শাসক দল বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বিরোধী। বিরোধীদের অভিযোগ কোনরকম ফিট সার্টিফিকেট(fit certificate) ছাড়াই ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয়। ভোটের লোভে বিপদের কথা না ভেবেই নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। ছাড়াও আরো একটি বিষয় উঠে আসছে তা হল ওরেভা গ্রুপ নামে যে সংস্থাকে দিয়ে ব্রিজটি মেরামত করানো হয়েছে এর আগে ওই সংস্থা এই ধরনের কোনও কাজের অভিজ্ঞতা ছিল না। সংস্থাটি সিএফএল বাল্ব, দেওয়াল ঘড়ি, ই-বাইক ইত্যাদি তৈরি করে।

ওরেভা গ্রুপ সারা দেশে তাদের ব্র্যান্ড অজন্তা ও অরপ্যাটের জন্য বিখ্যাত। এরা মূলত ঘড়ি, সিএফএল বাল্ব, ক্যালকুলেটর ইত্যাদি তৈরি করে। দেশজুড়ে এদের রমরমা ব্যবসা থাকলো নির্মাণ সংক্রান্ত কোনো কাজ এরা কখনো করেনি। তাহলে এই সংস্থাকে কেন সেতু তৈরীর বরাত দিল প্রশাসন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এখনও অবধি ব্রিজ ভেঙে পড়া নিয়ে সরাসরি মুখ খোলেনি কোম্পানিটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার এক প্রতিনিধি দাবি করেছেন, ব্রিজে অতিরিক্তি লোক উঠে পড়াতেই বিপদ ঘটেছে। একথা সংস্থার প্রতিনিধি বললেও ক্রমশ গাফিলতির ছবি স্পষ্ট হচ্ছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয়রা মচ্ছু নদীর উপরের কেবল ব্রিজটিকে বলত ‘ঝুলতা পুল’। মেরামতির প্রয়োজনে সাত মাস আগে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মোরবি পুরসভা সেতু মেরামতির বরাত দেয় ওই সংস্থাকে। এরপর পাঁচদিন আগে গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে ‘ঝুলতা পুল’ খুলে দেওয়া হয়। তারপরই রবিবার ঘটে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা।

Previous articleবাম ছাত্রযুবদের বিক্ষোভ ঘিরে বহরমপুরে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিক্ষোভকারীদের
Next articleআন্দোলন নয়, চাকরি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে: বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর