যে রক্ষক, সে ভক্ষক! হরিদেবপুরের হোমে ব্রাদারের বিরুদ্ধে যৌ*ন হেনস্থার অভিযোগ!

হোমের একটি ঘরে বহিরাগত ওই মহিলার সঙ্গে ব্রাদারকে ঘনিষ্ঠ ও আপত্তিকর অবস্থায় তিনি দেখে ফেলেন। প্রতিবাদ করেন। এর পরেই ব্রাদার তাঁকেও রুম খালি করে চলে যেতে বলে

প্রতীকী ছবি

ফের কলকাতার বুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল একটি হোমের দায়িত্বে থাকা ব্রাদারের বিরুদ্ধে। ওই হোমের এক কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের আনন্দপল্লীর ওই হোমের কর্মী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের পর থেকে এটা শুরু হয়েছে। ওই বছর একটি ঘটনা ঘটেছিল। হোমের ব্রাদারের সঙ্গে হোমের এক শিক্ষিকার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি, হোমের আবাসিকদের সঙ্গেও একই কাজ করা হতো। এর প্রতিবাদ করে হোস্টেলের মেয়েরা। ওই ঘটনার পর ব্রাদার একটি বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে এক অভিযোগকারী মেয়েকে শাস্তি হিসেবে বাড়ি যেতে বলা হয়। মেয়েটি খুবই দরিদ্র পরিবারের। বাড়ি যেতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: নৃ*শংস! ছত্তিশগড়ে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নার্সকে গণধ*র্ষণ, গ্রেফতার নাবালক সহ ৩

অভিযোগকারী ওই কর্মী আরও দাবি, গত ২৪ অক্টোবর শনিবার একটি মেয়ে বাইরে থেকে আসে। হোমের একটি ঘরে বহিরাগত ওই মহিলার সঙ্গে ব্রাদারকে ঘনিষ্ঠ ও আপত্তিকর অবস্থায় তিনি দেখে ফেলেন। প্রতিবাদ করেন। এর পরেই ব্রাদার তাঁকেও রুম খালি করে চলে যেতে বলে। তিনি তখন ব্রাদারকে কেন চলে যেতে বলা হচ্ছে, তা লিখিত আকারে দিতে বলেন। ব্রাদার তা দিতে অস্বীকার করে। ওই কর্মীও হোম ছাড়েননি। এখনও বহিরাগত ওই মহিলার হোমে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে।

হরিদেবপুরের মিসনারি অব দি ওয়ার্ড নামে ওই হোমে তিনশোরও বেশি আবাসিক থাকে থাকে। সেই হোমেরই ব্রাদারের সঙ্গে হোমের এক শিক্ষিকার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। ব্রাদারের বিরুদ্ধে যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও।

হোমের যিনি দায়িত্ব রয়েছেন সেই ব্রাদার অরুণ জেভিয়ার্সের বিরুদ্ধেই ওই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হোমের এক টেলারিং টিচার ওই যৌন হেনস্থার বারবার প্রতিবাদ করেছেন। এমনকি পুলিশকেও জানিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। এর জন্য তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। বেশকিছু ছাত্রীর সঙ্গেও যৌন হেনস্থা করা হতো বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের।

অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হোমটিকে ঘিরে ফেলে। যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসবাদের পর পুলিশ যায় অরুণ জেভিয়ার্সেকে গ্রেফতার করতে। তখন হোমের কর্মীদের একাংশ তাতে বাধা দেয়। খবর সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের মারধর করা হয়। পুলিশ গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Previous articleঅনুব্রতর জামাইবাবুকে দিল্লিতে তলব ইডির
Next articleসুখবর! শুরু হল শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং