সুখবর ! ২০০৯ সালের প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিল আদালত

২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ হাজার ৮৩৪ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। লিখিত পরীক্ষাও হয়েছিল। এরপর ৪টি জেলায় পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

নিয়োগ (Recruitment) সংক্রান্ত মামলা আর দুর্নীতির জটে আটকে রয়েছে কয়েক লক্ষ চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ। বাম আঙুলের চরম দুর্নীতির শিকার হয়েছিলেন কয়েক লক্ষ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী (Job seekers)। পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল, যার জেরে পরীক্ষা বাতিল করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। এবার সেই সব জট কাটিয়ে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta Highcourt) বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের (Subrata Talukdar) ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে বলে বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালের পরীক্ষা থেকে। বাম আমলের চরম দুর্নীতির প্রকাশ ঘটেছিল সেই সময়। চাকরির দাবিতে মামলাটি করেছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় এক হাজার প্রার্থী। এর আগে একমাসেরও বেশি সময় ধরে ধর্না দিচ্ছিলেন তাঁরা। সোমবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) মন দিয়ে তাদের কথা শোনেন এবং এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দেন। তাঁর আশ্বাস পেয়েই মঙ্গলবার ওই চাকরি প্রার্থীরা ধর্না তুলে নেন। উল্লেখ্য ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ হাজার ৮৩৪ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। লিখিত পরীক্ষাও হয়েছিল। এরপর ৪টি জেলায় পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তার পরে ২০১১ সালে সেই পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে ফের পরীক্ষা হয়। সেই থেকে মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি। পরে মালদহ, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়। যদিও বাকি থেকে গেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে অন্যান্য একাধিক অভিযোগ মামলা করে চলেছেন অথচ বাম সরকারের আমলে হওয়া চূড়ান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার মতো সাহস এতদিনেও তিনি কেন দেখাতে পারলেন না, এই নিয়েও প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বৃহস্পতিবার সেই জেলার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এমন আশ্বাস পেয়ে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।

Previous articleম‍্যাচ হেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রোহিত, সান্ত্বনা দিলেন দ্রাবিড়
Next articleম‍্যাচ হারলেও টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে কোটি টাকার পুরস্কার টিম ইন্ডিয়ার