কেরলে নয়া মোড় নিল রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত। কেরল কলমন্ডলম ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kalamandalam Deemed University) আচার্যের (Chancellor) পদ থেকে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে (Governor Arif Mohammed Khan) সরিয়ে দিল কেরল সরকার (Kerala Government)। বুধবারই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল আরিফ মহম্মদ খানকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। আর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল। রাজ্য সরকার সাফ জানিয়েছে, আরিফ মহম্মদ খানের বদলে শিল্প সংস্কৃতি জগতের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ওই পদে নিযুক্ত করা হবে।
এদিন আরিফ মহম্মদ খানকে রাজ্যের ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে অপসারণের জন্য এলডিএফ (Left Democratic Front) সরকার প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম সংশোধন করে। তারপর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপালের বদলে এই পদে কাকে নিযুক্ত করা হবে, তা ঠিক করবে কেরল সরকারই। বিগত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই একাধিক বিষয়ে রাজ্যের শাসক জোট, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সঙ্গে সমস্যা বাধে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের। গত ২৩ অক্টোবর কেরলের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) নিয়ম মেনে তাঁদের নিয়োগ হয়নি।
৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর রাজ্যপালের নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেন, গণতন্ত্রকে সম্মান করে এমন কেউই এই ধরনের প্রবণতা মেনে নিতে পারবেন না। রাজ্যপাল আরএসএস-এর এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। তবে, গত বুধবার কেরল সরকার বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, পিনারাই বিজয়নের মন্ত্রিসভা এই অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। তবে সেই অধ্যাদেশ আনার আগেই রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করল বাম সরকার।