আইএসএল-এ ফের জয়ের রাস্তায় ফিরল ইস্টবেঙ্গল এফসি। শুক্রবার বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে হারাল স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল। লাল-হলুদের হয়ে একমাত্র গোল ক্লেইটনের। এই জয়ের ফলে আট নম্বরে উঠে এল লাল-হলুদ ক্লাব।
প্রথমার্ধে দুই দলই নিজেদের মাঝমাঠ গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে। একদিকে যেমন সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণাদের বেঙ্গালুরু ছোট ছোট পাস খেলে বিল্ড আপ করে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে তেমনি নিজেদের রক্ষণ ভাগকে গুছিয়ে নিয়ে প্রতি আক্রমণের অপেক্ষায় থাকে ক্লেইটন, মহেশ, ডোহার্টিরা। প্রথমার্ধে দুই দলই আক্রমণে গেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। যার ফলে প্রথমার্ধে ফলাফল থাকে ০-০।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে বিএফসি বেশ কিছু ইতিবাচক আক্রমণ করলেও বক্সে সঠিক বল রাখতে ব্যর্থ হয় তারা। বরং পাল্টা আক্রমণ চালায় স্টিফেনের দল। যার ফলে ৬৯ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। সুরেশ সিংকে দারুণ দক্ষতায় প্রেস করেন নাওরেম মহেশ সিং। দারুণ ভাবে বল কেড়ে নিয়ে বাঁ দিকের প্রান্ত ধরে এগিয়ে যেতে থাকেন মহেশ। নীচ থেকে উঠে আসা ক্লেটন সিলভাকে বল দেন তিনি। ফাঁকায় গোল করে যান ক্লেটন। এরপর ৭৩ মিনিটে ক্লেইটন লাল হলুদ ব্রিগেডকে দুই গোলের ব্যবধানে প্রায় এগিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তার শট একটুর জন্য গোলপোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসিও। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণরা।
এদিন ম্যাচে দারুণ খেলেন কিরিয়াকু, নাওরেম মহেশ সিং, ক্লেইটন সিলভা। ভিপি সুহের কিছুটা চেষ্টা করলেও বাজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখে ফেলেন। এরপরেও বার কয়েক মাথা গরম করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে রেফারি সতর্ক করেই ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন:টি-২০ ফর্ম্যাটে কি শেষ রোহিত-বিরাট যুগ? বোর্ডের ইঙ্গিত সেদিকেই