সার্ভারে কারচুপি করে রেজিস্ট্রেশনে বেআইনি লেনদেন! ইডির নজরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট

তদন্তকারীদের মতে, রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার পরে সার্ভারে একটা নির্ধারিত আসন সংখ্যা দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সার্ভার জ্যাম করে দেওয়া হত।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের পাশাপাশি এবার ইডির নজরে রাজ্যের প্রাইভেট ডিএলএড অর্থাৎ টিচার্স ট্রেনিং কলেজেগুলিতে অফলাইনে (Online) ছাত্র ভর্তি। এই বিষয়ে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট ও সার্ভার খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করছে। প্রাইভেট টির্চাস ট্রেনিং কলেজে ভর্তিতে চালু ছিল অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। তাতেই কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED)।

ইডির অভিযোগ, অনলাইনে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন সার্ভার জ্যাম করে কারসাজি হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার পরে সার্ভারে একটা নির্ধারিত আসন সংখ্যা দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সার্ভার জ্যাম করে দেওয়া হত। ফলে নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদনকারীদের পরে বাকিদের রেজিস্ট্রেশন আন-সাকসেসফুল বলে চিহ্নিত হত। যাঁদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন হল না, তাঁরা তখন অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কলেজগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।

ইডির অভিযোগ, এখন থেকেই দুর্নীতি সূত্রপাত। নিয়ম অনুযায়ী, অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র পর্ষদ সভাপতির হাতেই ছিল। এই বিষয়টিকেই মানিক ভট্টাচার্য ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ।

সার্ভারে কারচুপি করে অল্প সংখ্যায় অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন দেখানো হত। নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হত। এই ভাবেই প্রতি কলেজ থেকে ছাত্র পিছু মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে মানিকের জন্য ছাত্র পিছু বরাদ্দ ছিল ৫০০০ টাকা। এই টাকার ভাগ কলেজগুলির কাছে যেতে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Previous articleপুরুষতান্ত্রিক বিচারব্যবস্থা: আইনি ক্ষেত্রে মহিলাদের আরও সুযোগের পক্ষে সওয়াল চন্দ্রচূড়ের
Next articleসার্ভারে কারচুপি করে রেজিস্ট্রেশনে বেআইনি লেনদেন! ইডির নজরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট