পুরুষতান্ত্রিক বিচারব্যবস্থা: আইনি ক্ষেত্রে মহিলাদের আরও সুযোগের পক্ষে সওয়াল চন্দ্রচূড়ের

দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি(Chief Justic) হিসেবে গত বুধবার দায়িত্ব নিয়েছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়(D Y Chandrachud)। এরপর শনিবার হিন্দুস্থান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২-এ অংশ নিয়ে দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে নিজের মত ব্যক্ত করলেন চন্দ্রচূড়। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে পুরুষতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করে আইনি ক্ষেত্রে মহিলাদের আরও সুযোগের পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি।

এদিন নিজের বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ভারতবর্ষের আইনি ব্যবস্থায় এখনও পর্যন্ত পুরুষতন্ত্রের ছাপ। এই কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে মহিলাদের যোগদান নিশ্চিত করা উচিৎ”। পাশাপাশি চন্দ্রচূড় (Chandrachud) আরও বলেন, “সিনিয়র কাউন্সেলের চেম্বার মানে ওল্ড বয়েজ ক্লাব। আপনি কীভাবে সেই চেম্বারে ঢুকতে পারেন? আপনার বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে হবে। আইনি পেশায় প্রবেশের জন্য আমাদের গণতান্ত্রিক এবং যোগ্যতা-নির্ভর ব্যবস্থা থাকতে হবে। যতদিন না সেটা হচ্ছে, ততদিন বিচার ব্যবস্থায় বেশি সংখ্যক নারী আসবে না।’

এছাড়াও বিচারব্যবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘কোনও মামলার শুনানির সময় একজন বিচারপতি যে যে কথা বলছেন, সেটা চূড়ান্ত রায় নয়। কোনও মামলার শুনানির সময় বাধাহীন সওয়াল-জবাব হয়। (কিন্তু) কোনও বিচারপতির কোনও মন্তব্যের ভিত্তিতে রিয়েলটাইম রিপোর্টিং হয়। যে কোনও বিচারপতিদের মন্তব্য টুইটার বা টেলিগ্রাম বা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়। সর্বক্ষণ (বিচারপতিদের) মূল্যায়ন করা হয়। বিচারপতিরা যদি কোনও মন্তব্য না করেন এবং চুপ করে থাকার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের নিজেদেরকে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে। এই প্রজন্মের বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে কী খাপ খাইয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।’

Previous articleদ্রৌপদীকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের নিন্দায় তৃণমূল, কুণাল মনে করালেন মোদির “ওওও দিদি” সংলাপও!
Next articleসার্ভারে কারচুপি করে রেজিস্ট্রেশনে বেআইনি লেনদেন! ইডির নজরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট