মমতা থেকে বীরবাহা- বিজেপির কুকথার শিকার তৃণমূল নেত্রীরা, তীব্র প্রতিবাদ সব মহলে

রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল (TMC) নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সবচেয়ে বেশি সরব গেরুয়া শিবির। কিন্তু শাসকদলের সর্বোচ্চ নেত্রী থেকে শুরু করে অনেক নেতানেত্রীকে উদ্দেশ্য করেই একের পর এক কুকথা বলেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। ভোট প্রচারে রাজ্যে এসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee), “দিদি ওওও দিদি” বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) জঙ্গলকন্যা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে (Birbaha Hansda) উদ্দেশ্যে করে বলেছিলেন, “ও আমার জুতার তলায় থাকবে”। একজন মহিলার সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করার পর কোনরকম দুঃখ প্রকাশ করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এমনকী, তার দলও তাই নিয়ে তাঁকে সতর্ক করেনি। অথচ অখিল গিরির মন্তব্যের পরেই নিন্দা করেছেন খোদ শাসকদলের নেতানেত্রীরা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য কখনওই সমর্থন করেন না। অখিল গিরিও নিজের ভুল বুঝতে পেরে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তারপরেও এই বিষয়টিকে ইস্যু করতে চাইছে বিজেপিয অথচ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মমতাজ বেগম’ থেকে শুরু করে কোনও কিছুই বলতেই বাকি রাখেননি শুভেন্দুরা।

তবে, শুভেন্দু একা নন, এই তালিকায় আছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে আহত হন. তখন তাঁকে ‘বারমুডা’ পরতে বলেছিলেন দিলীপ। বিজেপির নেতারা মহিলাদের প্রতি এই ধরনের অসম্মানসূচক মন্তব্য করার পরেও কোনরকম ক্ষমা প্রকাশ করেন না। এমনকী, তাঁদের দলের পক্ষ থেকেও এই ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করা হয় না। সোমবার সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়টি তুলে ধরেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, আজকে মহিলাদের সম্মান রক্ষা নিয়ে এত কথা বলছেন শুভেন্দু, অথচ তাঁর মুখেই বীরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও একের পর এক কুকথা বলেছেন শুভেন্দু। বাদ যাননি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ‘দলবদলু’ বিজেপি নেতা। শাসকদলের অবস্থান প্রথম থেকেই স্পষ্ট। তাঁরা কখনোই অখিল গিরিকে এই বিষয়ে সমর্থন করেননি। অথচ বিজেপি নেতাদের কুকথার কোনও শেষ নেই। এই বিষয়টির তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সব মহলে।

আরও পড়ুন- পোষ্য বাজপাখিকে মারার অভিযোগ! রাগে মাকে পুড়িয়ে মারল যুবক

Previous articleদৈনিক খরচ ১০ হাজার! দাম ১০ কোটি, মোষ হলেও গোলুর রোজনামচা হার মানাবে সকলকেই
Next articleখেতাব হাতছাড়া হলেও দলের খেলায় খুশি বাবর