নম্বর বাড়িয়ে যাঁরা চাকরি পেলেন, তাঁরা গ্রেফতার নন কেন? প্রশ্ন তুলল আদালত

মামলার শুনানিতেই সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান বিচারক। CBI জানায়, ৬৭৭ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাঁদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। বিচারক তখন জানতে চান, যে অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের কত জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? উত্তরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, ৬৭৭ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যাঁরা টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হবে না? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইল আলিপুর আদালত (Alipur Court)। এদিন এসএসসির গ্রুপ সি মামলা ও নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি হয় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে। সশরীরে হাজির করানো হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়কে। সেখানেই বিচারক এই প্রশ্ন তোলেন। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের কাছে এই প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট জবাব ছিল না।

মামলার শুনানিতেই সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান বিচারক। CBI জানায়, ৬৭৭ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাঁদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। বিচারক (Juge) তখন জানতে চান, যে অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের কত জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? উত্তরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, ৬৭৭ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরপরেই মোক্ষম প্রশ্নটি করেন বিচারক। তিনি জানতে চান, “এঁরাও তো বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ, টাকা দিয়ে নম্বর বাড়িয়েছেন এঁরা। এদের হেফাজতে নেননি কেন?”

সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, বয়ান নেওয়া হয়েছে। হার্ড ডিস্ক থেকে অনেক তথ্যই উদ্ধার করা হয়েছে। এইভাবে তদন্ত এগোলে অনেক সময় লেগে যাবে বলে মন্তব্য করেন বিচারক।

আদালতকে CBI জানিয়েছে, তারা নিরন্তর কাজ করেছে। তবে, যাঁরা প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার করা হবে কি না, সেবিষয়ে কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।