শূন্যপদ নিয়ে রাজ্য-SSC-র অবস্থান আলাদা কেন? প্রশ্ন তুলে কড়া মন্তব্য বিচারপতি বসুর

শিক্ষক নিয়োগ ও শূন্যপদ নিয়ে দফায় দফায় মামলা আদালতে। শূন্যপদ নিয়ে মামলায় বিচারপতির মন্তব্য অস্বস্তিতে কমিশন। বৃহস্পতিবার, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu) প্রশ্ন করেন, ‘‘শূন্যপদ নিয়ে রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান আলাদা কেন?‘’ এরপরেই কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। বলেন, ‘’রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান এক না হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক‘’। শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৯ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ৬৮২১ টি অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়েছে। গ্রু সি, গ্রুপ ডি থেকে নবম-দ্বাদশ, শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই পদ তৈরি বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে ওই পদে তাঁদের পুর্নবহালে অগ্রাধিকারের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই শুনানিতেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে সেটা কখনই শিক্ষকতা নয়। কারণ এটা হলে পড়ুয়া বঞ্চিত হবে। বিচারপতি বলেন, “রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আদালতের নির্দেশ মেনে বঞ্চিতদের নিয়োগ করা হবে। সেখানে কমিশনের আবেদন, অবৈধ চাকরিরতদের পুনর্বহালের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হয়েছে“। আলাদা অবস্থান কেন? তাহলে কি স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই? বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, তেমন হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক। রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে সেটা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। এরপরেই আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, আবেদনের নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটি প্রত্যাহার করা হতে পারে। রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে- শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে সেটা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বজিৎ বসু।

Previous articleRBI-এর সঙ্গে আলোচনা করেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত! সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের  
Next articleGST কাউন্সিলের বৈঠকের আবেদন জানিয়ে নির্মলাকে চিঠি অমিত মিত্রের