প্রকল্পের নামে প্রধানমন্ত্রী লেখা থাকলে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও থাকবেন : ফিরহাদ

প্রকল্পের নামে প্রধানমন্ত্রী লেখা থাকলে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও থাকবেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন ফিরহাদ হাকিম।সোমবার জিএসটি, কর-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন ফিরহাদ। সোমবার বিধানসভায় তিনি বলেন, “তুমি তো আলাদা ফান্ড দিচ্ছো না। প্রকল্পের নামে প্রধানমন্ত্রী লেখা থাকলে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও থাকবেন। জল জীবন মিশনে জমিতেও ৫০ শতাংশ টাকা দিই। গ্রামীণ সড়ক যোজনায় জমি ও টাকা দিচ্ছি। এভাবে টাকা আটকানো যায় না। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী টাকা দিতে হবে। আপনি আমাকে টাইট নয়, টাইট দিচ্ছেন গ্রামের মজদুরকে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষকে।

ফিরহাদ এদিন বলেন, “জিএসটি ৫০,১৭৪ কোটি শুধু এই বছর নিয়ে গেছে। আমাদের টাকা তারপরেও দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আরবানে কেন্দ্র দেয় ৪৩%। ৫৭% টাকা বাংলার মানুষ দেয়৷ আমি ৪৩ শতাংশ টাকার জন্য কেন্দ্রের নাম দেব? আসলে ওরা বাংলা ভাগে বিশ্বাস করে। গ্রামীণ এলাকায় ওরা ৪০শতাংশ দেয়, আমরা ৬০শতাংশ। কলকাতা শহরে মাত্র ২৫শতাংশ দেয়, আমরা ৭৫শতাংশ দিই। স্বচ্ছ ভারত মিশনে আমরাও ৫০শতাংশ দিচ্ছি। তাহলে তোমার নাম রাখব, আমার নাম কেন রাখব না? সবটাই বাংলার টাকা।”

শুভেন্দুর নাম না করে তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা দু’দিন আগে টাকা আটকানোর মন্তব্য করলেন। স্টিকার পলিটিক্সের কথা বললেন। আমার ও বাংলার মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর নামটা গুরুত্বপূর্ণ না বাংলার গুরুত্বপূর্ণ?” তার সাফ কথা, “বাংলাকে যে স্কিমে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটা আসলে বাংলার মানুষের করের টাকা। গুজরাটের টাকা দিচ্ছে না। ৪৪,৬৩৮ কোটি টাকা ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্র নিয়ে গেছে। এই টাকার একটা অংশ তিনি দিচ্ছেন। আমাদের করদাতা ৫৬ হাজার কোটির কাছাকাছি। এছাড়া এক্সাইজ, সেস, কাস্টমস ডিউটি আছে। কয়েক লক্ষ কোটি টাকা এরা নিয়ে যান।”

Previous articleবগটুইকাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা সিবিআইয়ের, আরও ৮জনের নাম
Next articleভারতীয়দের প্রতি ‘অমানবিক’ আচরণ! বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ পুড়ল কাতারের