নিশীথ-বার্লার পদত্যাগের দাবিতে সরব তৃণমূল, শিলিগুড়িতে বাংলাভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে হেভিওয়েট মিছিল

দুটি গুরুতর অপরাধের ঘটনায় নাম জড়ানোয় উত্তরবঙ্গের ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik) ও জন বার্লার (John Barlar) পদত্যাগের দাবি জানাল তৃণমূল (TMC)। বিজেপির (BJP) বাংলাভাগের চক্রান্তের ও কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে থেকেই এই দাবি তোলা হয়। সোমবার উত্তরবঙ্গের চার জেলা- কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং পাহাড় সমতল মিলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হয় শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি মোড় থেকে হাসমিচক পর্যন্ত মিছিলের পরে হাসমি চকে একটি প্রতিবাদ সভাও করে তৃণমূল। মিছিলে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debanshu Bhattacharya) ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বাড়াইক, শিলিগুড়ি মহানগরিক গৌতম দেব, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, শান্তা ছেত্রী, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী-সহ চার জেলার সভাপতি ও চেয়ারপার্সনরা। বিজেপি যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ করেন দলীয় নেতৃত্ব।

এদিন প্রতিবাদ সভাতে দেবাংশু বলেন, বাংলা ভাগের যে চক্রান্ত বিজেপি করছে তার প্রতিবাদে মিছিল করে মানুষ বুঝিয়ে দিল পাহাড় থেকে সমতল ‘ইউনাইটেড বেঙ্গল’। মোদির মন্ত্রিসভায় চল্লিশ শতাংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। আমাদের দলের এক শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁকে দল থেকে সরিয়ে তিরস্কার করেন দলনেত্রী। আর মোদি ‘ডাকাত নিশীথ প্রামাণিক’কে ডাকাতির জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করে পুরস্কৃত করেছেন। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বাংলা ভাগের কথা বলেনি। এখন নির্বাচনে হেরে বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। আর বিজেপির কেউ কেউ মনে করছে, “আমি মুখ্যমন্ত্রী হব, আমি মুখ্যমন্ত্রী হব”।

এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ২০০৯ সালে নিশীথ প্রামাণিক আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানের তালা ভেঙে সোনা চুরি করেছিলেন। সেই কারণে তাঁকে ৪০ দিন জেল খাটতে হয়েছিল। আর এই ‘ডাকাতকে’ই নরেন্দ্র মোদি দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করে রেখেছে। কোচবিহারে ভেটাগুড়ির বাড়িতে নিশীথকে ঢুকতে হলে সিআরপিএফের নিরাপত্তা নিয়ে ঢুকতে হয়- কটাক্ষ উদায়নের।

তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্যে সভানেত্রী বলেন, “বাংলা ভাগ ওসব বিজেপির বুলি। বাংলা মায়ের একটা আঙ্গুলও কাটতে দেব না আমরা। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক।“ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সায়নি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। কোনও অন্যায় বরদাস্ত করবে না তৃণমূল। এদিন শুভেন্দু প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, “যতদিন তৃণমূলে ছিল তৃণমূলকে ক্ষতি করেছে। এখন বিজেপিতে গিয়ে বিজেপির যেটুকু আছে সেটাও ক্ষতি করছে। উনি মীরজাফর। এবারের লোকসভা ওনার শেষ লোকসভা।“

আরও পড়ুন- ভারতীয়দের প্রতি ‘অমানবিক’ আচরণ! বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ পুড়ল কাতারের

 

 

 

 

Previous articleভারতীয়দের প্রতি ‘অমানবিক’ আচরণ! বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ পুড়ল কাতারের
Next articleবিশ্বকাপের মঞ্চে প্রতিবাদ, জাতীয় সংগীত গাইলেন না ইরান ফুটবলাররা