ফেসবুকের পর ইনস্টাগ্রাম ছাড়লেন সব্যসাচী!

২০ দিনের কঠিন লড়াইয়ের পর চলে গেছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই শোক ভুলে নিজেলে এখনও সামলাতে পারছেন না অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। রবিবার ঐন্দ্রিলা শর্মার জীবনাবসানের পর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করে দিয়েছিলেন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ খ্যাত অভিনেতা।এবার তাঁর ইনস্টাগ্রামেও ‘ডিঅ্যাকটিভেট’ করলেন তিনি। কিন্তু কেন?

আরও পড়ুন:ঐন্দ্রিলা সংক্রান্ত সমস্ত পোস্ট মুছে ফেললেন সব্যসাচী

সোশাল মিডিয়ায় মশগুল থাকতে পছন্দ করতেন না সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “সোশাল মিডিয়া আমি বেশি ব্যবহার করি। ও (সব্যসাচী) ফোন বেশি ব্যবহার করে।” ‘জিয়ন কাঠি’ খ্যাত অভিনেত্রীর কারণেই নেটপাড়ায় সক্রিয় হয়েছিলেন টিভির বামখ্যাপা। ২০২১ সালে যখন দ্বিতীয়বার ঐন্দ্রিলার ক্যানসার ধরা পড়ল, সেই সময় ফেসবুকে তাঁর স্বাস্থের ব্যাপারে আপডেট দিতে শুরু করেন সব্যসাচী। অভিনেত্রী কেমন আছেন, তা নিয়ে অনুরাগীরা চিন্তায় থাকতেন। কেউ যাতে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে বিরক্ত না করেন, সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবর দিতেন তাঁর সঙ্গী সব্যসাচী।

কিন্তু সঙ্গী আর নেই। রবিবারই তাঁকে চিরবিদায় জানিয়েছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। পরিবারের সঙ্গে থাকলেও কারর সঙ্গেই বিশেষ কথা বলছেন না। তবে মাঝেমধ্যে নিয়ম করে ঐন্দ্রিলার কুঁদঘাটের বাড়িতে তাঁর মা-বাবার পাশে থাকার চেষ্টা করছেন সব্যসাচী। তবে নিজের অনুভূতি প্রকাশ্যে আনছেন না।

বরাবরই চুপচাপ ছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী। আর এই  ইন্ট্রোভার্ট ছেলেটাকেই আগলে রাখতেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা চৌধুরী। ২০১৭ সালে কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ সিরিয়ালের সেটে আলাপ দুজনের। তারপর থেকেই বন্ধুত্ব । পরে যা আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়বার ক্যানসারের সঙ্গে যখন ঐন্দ্রিলা লড়াই করছেন, তখন পাশে সহযোদ্ধা হিসেবে থেকেছেন সব্যসাচী। গত ১৯ নভেম্বর তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে হাওড়ার হাসপাতালই ছিল অভিনেতার ঠিকানা।কিন্তু কাছের মানুষ চলে যাওয়ার পর থেকেই আর কোনও কিছুতেই মন নেই অভিনেতার।

Previous articleশিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যাচার, শুভেন্দুকে আইনি নোটিশ অখিল পুত্র সুপ্রকাশের
Next article‘অনুরাগীদের এমন ভালোবাসায় আমি নিজেকে ভাগ‍্যবান মনে করি’: মেসি