ফের দিল্লিতে হাড়হিম করা হ*ত্যাকাণ্ড, নিজের পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে খু*ন যুবকের

অসৎ সঙ্গ থেকে বের করে ছেলেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতেই রিহ্যাব সেন্টার বা নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু তার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ।

ফের হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রাজধানী দিল্লির (Delhi)  বুকে। ভাবলে রীতিমতো আঁতকে ওঠাতে হয়। এবার নিজের পরিবারের ৪ সদস্যকে খু*ন করল এক যুবক। বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে কেশব নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, নয়াদিল্লির পালম এলাকায়। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ!(Delhi police)। সে মাদকাসক্ত ছিল বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, কেশবের জ্বালায় বাধ্য হয়েই রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল তাকে। অসৎ সঙ্গ থেকে বের করে ছেলেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতেই রিহ্যাব সেন্টার বা নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু তার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। রিহ্যাব সেন্টার থেকে ফিরেই পরিবারের লোকেদের উপর এলোপাথাড়ি ছুরি চালায় কেশব।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কেশব রিহ্যাব থেকে বাড়ি ফেরে। প্রায়ই ওই যুবকের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের ঝামেলা লেগেই থাকত। মূলতঃ নেশার কারণেই পারিবারিক বিবাদ চরমে উঠত বলে অনুমান। কেশবকে চাকরি করার জন্যও চাপ দিত তার পরিবার। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে নেশা করা নিয়েই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। এরপরই রাগের মাথায় তাঁর বাবা দীনেশ কুমার (৪২), মা দর্শন সাইনি (৪০), বোন উর্বশী (২২) ও ঠাকুমা দিওয়ানো দেবী (৭৫)-র উপর ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি একের পর এক কোপ বসাতে শুরু করে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কেশবদের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পেয়েই পুলিশে খবর দেন এক প্রতিবেশি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখে গোটা ঘর র*ক্তে ভাসছে। চারজনের দেহ পড়ে রয়েছে। তখনও অবশ্য অভিযুক্ত কেশব সেখানেই ছিল। পুলিশকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয়নি। তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।

 

Previous articleঅনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সাঁতরাগাছির যানজট! ড্রোন ব্যবহার করতেই ফল মিলল হাতেনাতে
Next articleরাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাকে বদনাম করা হচ্ছে: বিজেপিকে তুলোধনা মমতার, সার নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী