গতবারের রানার্সআপদের রুখে দিল মরক্কো

গতবারের রানার্সআপদের বিপক্ষে ম্যাচ। যেখানে লুকা মদিরচ, ইভান পেরিসিচ এবং মাতেও কোভাচিচদের মতো তারকাদের ভিড়। তবে তাতে কি! হাকিম জিয়েশ–আশরাফ হাকিমিরা শুরু থেকেই ক্রোয়াট খেলোয়াড়দের চোখে চোখ রেখে খেলতে শুরু করে। দুর্দান্ত প্রেসিংয়ে ক্রোয়েশিয়াকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিতে শুরু করে আফ্রিকার দেশটি।

ক্রোয়েশিয়া যে খারাপ খেলছিল তা নয়, তবে মরোক্কোর প্রেসিং ফুটবলে তাল রাখা কঠিন হয়ে উঠেছিল মদরিচদের। ম্যাচে দুই দলই অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল গোল আদায়ের। তবে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও কেউ জালের দেখা না পেলে ম্যাচ নিষ্পত্তি হয় গোল শূন্য ড্রয়ে। এটি চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় গোল শূন্য ড্র ম্যাচ।

প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণগুলো নিচ থেকে তৈরি হয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে মরক্কোর ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করছিল। মিডফিল্ডেও ক্রোয়েশিয়ার খেলা বেশ গতিময় ও প্রাণবন্ত ছিল।

মদরিচের নেতৃত্বে শুরু থেকেই মাঝ মাঠে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ছিল ক্রোয়াটদের। তবে যেখানে বল সেখানে পৌঁছে ক্রোয়েশিয়াকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে দিচ্ছিল না মরক্কোর খেলোয়াড়েরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে বুটের বাইরের অংশ দিয়ে মদরিচের দারুণ এক ক্রসকে গোলে রূপান্তর করার মতো কেউই ছিল না।
পরের মিনিটে অবশ্য সুযোগ এসেছিল ক্রোয়েশিয়ার সামনে। সেলিম আমাল্লাহ বল হারালে ফাঁকা জায়গা পান পেরিসিচ। তবে সে সুযোগ কাজে লাগেনি। এরপর গোলের দারুণ এক সুযোগ পায় মরক্কো।

তবে জিয়েশের ক্রসে গোলের সুযোগ হেলায় নষ্ট করেন ইউসেফ এন–নেসরি। আর ক্রোয়েশিয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। তবে মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুর নৈপুণ্যে সে যাত্রায় বেঁচে যায় উত্তর আফ্রিকার দেশটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে জমে ওঠে ম্যাচ। এই অর্ধের শুরুতে খেলার গতি বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। ৫১ মিনিটে সোফিয়া বুফালের দূরপাল্লার শট ঠেকান দেয়ান লোভরেন। মরক্কো অবশ্য পেনাল্টির আবেদন করে, তবে তাতে রেফারি সাড়া দেননি। একই আক্রমণে কাছের পোস্টে হেড করছিলেন নুসাইর মাজরাউয়ি। তবে তাঁকে নিরাশ করেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
মরক্কোর হাই প্রেসিং ফুটবল সামলাতে ফের বেগ পেতে হচ্ছিল ক্রোয়েশিয়াকে। ক্রোয়াটদের চাপে ফেলে কয়েকবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মরক্কো। ৬৪ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে জিয়েশের বুলেট গতির শট কোনোরকেম ফেরান লিভাকোভিচ।

আক্রমণ–প্রতি আক্রমণে দুই দলই চেষ্টা করছিল গোল আদায়ের। তবে হার না মানা ডিফেন্ডিংয়ে প্রতিপক্ষকে এগিয়ে যেতে দিচ্ছিল না কোনো দলই। শেষ পর্যন্ত কেউ কারও ডিফেন্স ভাঙতে না পারলে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

 

Previous articleহারের ধাক্কায় একসঙ্গে খেতেও নামলেন না আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা!
Next articleউপাচার্যের পদত্যাগের দাবি ,পড়ুয়া বিক্ষোভে উত্তেজনা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে