হাতির হানা রুখতে প্রকৃতি পুজো দেবেন মমতা, বনকর্মী নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় ২ হাজারের বেশি বনকর্মী নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। বুধবার, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, জঙ্গল এলাকায় স্থানীয় যুবক-যুবতীদের এই কাজে নিয়োগ করা হবে। হাতির হানায় মৃত্যু সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাতির আক্রমণে মৃত্যু হলে রাজ্য সরকার ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও মৃতের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, হাতির সংখ্যা অনেক বেড়েছে। জঙ্গলে খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে চলে আসছে এবং লোকালয়ে এসে অনেক ক্ষেত্রে হাতি মারাও যাচ্ছে। হাতির মৃত্যু রুখতে বনদফতরকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাতির হানায় মৃত্যু রুখতে প্রকৃতি পুজোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী মঙ্গলবার আমি হিঙ্গলগঞ্জে (Hingalganj) বৃক্ষ পুজো করব। ইদানীং হাতির হানা বেড়েছে। জঙ্গলে খাবার না পেয়ে ধান খেতে ঢুকে পড়ে ওরা। অনেক জমি নষ্ট হয়। প্রাণ যায়।” সুন্দরবন এলাকায় রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা যথাযথ করার জন্য বনদফতরকে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সুন্দরবন এলাকায় প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে মানুষকে অনেক ক্ষেত্রেই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয় তাই এক্ষেত্রে আলো বিশেষ প্রয়োজন। সুন্দরবন নিয়ে মাস্টার প্ল্যান নীতি আয়োগে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মমতা। তিনি বলেন, প্রতি বছর সাইক্লোন (Cyclone) হয়, বন্যা হয়। মাস্টার প্ল্যান হলে সমস্যা মিটবে।

এদিকে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, হাতি চলাচলের জন্য উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে আটটি করিডর তৈরি করা হচ্ছে। এই কাজে সাফল্য এলে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- Weather : নিম্নমুখী পারদ, তবে জাঁকিয়ে শীত এখনই নয় জানাল আবহাওয়া দফতর

 

 

Previous articleপায়ের তলায় জমি নেই: ডিসেম্বর ইস্যুতে শুভেন্দুর ‘ডিগবাজি’কে তীব্র কটাক্ষ কুণালের
Next articleকার নির্দেশে শূন্যপদে ‘অযোগ্যদের’ নিয়োগের জন্য আবেদন? জানতে CBI তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের