ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, গুজরাটে ভোটে জিতলে দেশদ্রোহীদের জন্য ‘বিশেষ সেল’: ঘোষণা বিজেপির

বিজেপির ইস্তাহারে আরও বলা হয়েছে, পুনরায় নির্বাচিত হয়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসলে রাজ্যে একটি অ্যান্টি র‍্যাডিক্যালাইজেশন সেল তৈরি করা হবে। যা দেশ বিরোধী ও সন্ত্রা*সবাদী সংগঠনগুলির স্লিপার সেলকে চিহ্নিত করবে এবং সম্ভাব্য বিপদ বা হামলার যাবতীয় ঝুঁকি প্রতিরোধ করা হবে।

গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের (Gujrat Assembly Election) জন্য ইস্তেহার (Manifesto) প্রকাশ করল শাসক দল বিজেপি (BJP)। দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)-এর উপস্থিতিতেই এদিন ইস্তেহারপত্র প্রকাশ করা হয়। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বাকি। ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে নির্বাচনের দামামা। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনকে (Gujarat Assembly Election 2022) পাখির চোখ করে রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি (BJP), আম আদমি পার্টি (AAP), কংগ্রেসের (Congress) মতো দলগুলি।

শনিবার দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে জানান, বিদেশি বিনিয়োগের প্রধান গন্তব্য করে তোলা হবে গুজরাটকে। গুজরাটের অর্থনীতিকে ১ ট্রিলিয়নের অর্থনীতি করে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, বিজেপির ইস্তাহারে আরও বলা হয়েছে, পুনরায় নির্বাচিত হয়ে বিজেপি সরকার (BJP Government) ক্ষমতায় আসলে রাজ্যে একটি অ্যান্টি র‌্যাডিক্যালাইজেশন সেল (Anti Radicalization) তৈরি করা হবে। যা দেশ বিরোধী ও সন্ত্রা*সবাদী সংগঠনগুলির স্লিপার সেলকে (Sleeper Cell) চিহ্নিত করবে এবং সম্ভাব্য বিপদ বা হামলার যাবতীয় ঝুঁকি প্রতিরোধ করা হবে। যারা আইন ভেঙে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করার জন্যই এই আইন তৈরি করা হবে।

পাশাপাশি বিজেপির সংকল্পপত্রে আরও লেখা হয়েছে, আদিবাসী অধ্যুষিত ৫৬টি তালুকে রেশনের ‘মোবাইল ডেলিভারি’ (Mobile Delivery) দেওয়া হবে। যেটা দুয়ারে সরকারের প্রতিচ্ছবি বলা চলে। এছাড়াও ২০ লক্ষ কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নারী শিক্ষার উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় এলে প্রাথমিক স্তর থেকে স্নাতকোত্তর স্তর অবধি মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষার (Free Education) ব্যবস্থা করা হবে।

ইস্তেহারে স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। ক্ষমতায় নির্বাচিত হলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে স্বাস্থ্যবিমার (Health Scheme) কভারেজ ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারের মেধাবী পড়ুয়াদের ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooter) প্রকল্প, তফসিলি উপজাতি পড়ুয়াদের জন্য ৮টি মেডিক্যাল কলেজ এবং ১০টি নার্সিং এবং প্যারামেডিক্যাল কলেজ (Paramedical College) স্থাপন করা হবে বলেও ইস্তেহারে জানান হয়েছে। পাশাপাশি বয়স্ক মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাসযাত্রায় মিলবে ছাড়পত্র।

তবে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশকে কেন্দ্র করে কটাক্ষের সুর বিরোধীদের গলায়। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। আর ভোট মিটতেই সব ভুলে যায় তারা। এত বড় সেতু বিপর্যয় নিয়ে একবিন্দু অনুশোচনা নেই গেরুয়া শিবিরের। তাঁদের গাফিলতিতেই এত মানুষ প্রাণ হারালেন। আর যেই ভোট সামনে এসেছে, গাল এবং হাত দু’হাত ভরে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলে মত বিরোধীদের।

Previous articleপ্রতারিত চিকিৎসক কুণাল সরকার, খোয়ালেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ! পুলিশের তৎপরতায় ধৃত ১
Next articleমিঠুনের মহাজোট বার্তা! একা তৃণমূলকে হারাতে পারবে না বুঝেছে বিজেপি: কুণাল