Monday, August 25, 2025

শনি-রবি অফিস খোলা! ২ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বেনজির নির্দেশ নবান্নের

Date:

Share post:

নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গ্রামীণ সড়ক যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ শেষ করতে কড়া নির্দেশ নবান্নের (Nabanna)। প্রয়োজনে রাত জেগে কাজ করে কেন্দ্রের বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে ওই কাজ করার শেষ করার জন্য সব জেলাকে নির্দেশ দিল নবান্ন। বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করতে এখন থেকে শনি, রবিবার ছুটির দিনেও BDO, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতর খোলা রাখা যেতে পারে।

একশো দিনের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য এখনও আটকে রেখেছে কেন্দ্র। গ্রাম সড়ক ও আবাস যোজনার কাজেও শেষ করতে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার (Pradip Majumder) জানিয়েছেন, গ্রামীণ আবাস যোজনায় মার্চ মাসের মধ্যে বকেয়া ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে কেন্দ্রের তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে। দেরিতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মেলায় গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির কাজও বকেয়া রয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যথেষ্ট কঠিন। সেই কারণে এই নির্দেশ। তিনি বলেন, “আমরা জেলাশাসকদের খুব দ্রুততা র সঙ্গে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি। আবাস যোজনায় পুরনো যেসব বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল একমাসের মধ্যে তার প্রথম কিস্তির টাকা দিতে হবে। আমরা এখন শীত ঘুম ঘুমালে গরিব মানুষ বঞ্চিত হবে। কেন্দ্র তখন বলবে আমরা টাকা দিলাম তোমরা করতে পারলে না। আমরা দরকার হলে রাত জেগে কাজ করব।“

সোমবার জেলাওয়ারি আবাস যোজনার কাজ পর্যালোচনা করতে জেবাশাসকদের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে বসছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সেখানে তাদের বকেয়া কাজ অনুযায়ী শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে।
গ্রামীণ সড়ক ও আবাস যোজনায় নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বকেয়া কাজ শেষ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী শুক্রবারই সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তিনি নির্দেশ দেন, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের কাজ ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। প্রশাসনিক সূত্রের মতে কাজটা কঠিন। কারণ, গত মার্চে যে-কাজ শুরু করার কথা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার আট মাস টাকা আটকে রাখায় এবার তা শুরু হবে। এত অল্প সময়ে ১১.৩৬ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করা এখন রাজ্য সরকারের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ বলে তাদের অভিমত। নবান্নের এই নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিডিও দফতর শনি রবিবার সাধারণ রাজের দিনের পুর সময় খোলা থাকবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছেন জেলাশাসক।

আরও পড়ুন- লক্ষ্য দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণ, EM Bypass-এর দায়িত্ব KMDA-এর থেকে KMC-র হাতে

 

 

spot_img

Related articles

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...