ফের ভয়াবহ ঘটনা সাক্ষী থাকলো রাজধানী। শ্রদ্ধা ওয়ালকরের(Shraddha Walker) ধাঁচেই এবার পূর্ব দিল্লিতে(Delhi) এক ব্যক্তিকে খুন(Murder) করে দেহ ২২ টুকরো করে রাখা হলো ফ্রিজে। তারপর সেই দেহাংশ ফেলে আসা হল বিভিন্ন জায়গায়। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শ্রদ্ধার সব দেহাংশ এখনও মেলেনি। সেই দেহাংশ খুঁজতে দিল্লির সব থানায় নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তখনই জানা যায়, গত জুনে পাণ্ডব নগর দেহাংশের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু পচে গলে যাওয়ায়, তা কার, তখন জানা যায়নি। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ফের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় জুন মাসে উদ্ধার হওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধার কি না। তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ওই দেহাংশ অঞ্জন দাস নামে পাণ্ডব নগরের এক ব্যক্তির। তিনি সম্প্রতি এক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অঞ্জনের স্ত্রী পুনম এবং ছেলে দীপক এই বিষয়ে জানতে পেরে তাঁকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন।

তদন্তে জানা গিয়েছে, অঞ্জনকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। তার পর তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো করা হয়। সেই দেহ ফ্রিজে রাখা হয়। এবং তা পরে ফেলে আসা হয় বিভিন্ন জায়গায়। অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই হত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। স্থানীয় বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ দেখতে পেয়েছে, গভীর রাতে ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন দীপক। পিছনে তাঁর মা। অন্য ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিনের বেলায় তাঁরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দু’জন। পরে ওই সব জায়গা থেকেই মেলে অঞ্জনের দেহাংশ। আফতাবের কিস্সা পুনমরা জানতেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে কাছাকাছি সময়ে একই ধরনের দুই কাণ্ড বিস্মিত করেছে তদন্তকারীদের। দু’টি ঘটনার মধ্যে বহু মিল তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, শ্রদ্ধাকে খুন করে লিভ ইন সঙ্গী আফতাব তাঁর দেহ টুকরো করে কেটেছিলেন। ১৮ মে শ্রদ্ধা খুন হন। সেই দেহাংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয় ফ্রিজে। এবং তার পর তিনি সেই দেহাংশ মেহরৌলীর জঙ্গলে ফেলে আসতেন রোজ রাতে। আফতাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার নির্মমতা নাড়িয়ে দিয়েছে দেশকে। তার মধ্যেই এমন আরও একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এল।
