মঙ্গলবার বিশ্বকাপের অন্যতম ম্যাচে নামছে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ওয়েলস। ‘গৃহযুদ্ধ’! মঙ্গলবার ইংল্যান্ড বনাম ওয়েলস ম্যাচকে এভাবেই চিহ্নিত করা হচ্ছে। অলিম্পিক এবং ক্রিকেট একসঙ্গে খেলে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস। কিন্তু ফুটবল-সহ বাকি খেলায় একে অপরের প্রতিপক্ষ। তাই এই ম্যাচটা দুটো দলের কাছেই মর্যাদার লড়াই।
প্রথম ম্যাচে ইরানকে হাফ ডজন গোল দেওয়ার পর, আমেরিকার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র। কিছুটা হলেও হতাশায় ভুগছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। তাই হ্যারি কেনদের তরতাজা করে তুলতে টিম হোটেলে ফুটবলারদের স্ত্রী ও বান্ধবীদের সঙ্গে একটা রাত কাটানোর অনুমতি দিয়েছিলেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এতে যে কাজ হয়েছে, সেটা ওয়েলস ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে ইংল্যান্ডের অনুশীলনে কেনদের শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট। তবে চিন্তা একটাই। চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত গোল নেই হ্যারি কেনের। ওয়েলস ম্যাচেই অধিনায়কের গোল-খরা কাটবে, এই আশায় রয়েছে গোটা ইংল্যান্ড শিবির। পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফিল ফডেনকে বিশ্বকাপের প্রথম দু’টি ম্যাচে না খেলিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন গারেথ সাউথগেট। ব্রিটিশ মিডিয়া তো বটেই, ওয়েন রুনিও ইংল্যান্ড কোচের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। সাউথগেট মঙ্গলবারের ম্যাচে ফডেনকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখলে, সমালোচনা আরও তীব্র হবে।
এদিকে, দীর্ঘ ৬৪ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা ওয়েলস মোটেই স্বস্তিতে নেই। দু’ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে গারেথ বেলরা। মঙ্গলবারের ম্যাচটা অবশ্য তাঁদের কাছে সম্মানরক্ষার মঞ্চ। ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশ তাই সতীর্থদের আগাম সতর্ক করে দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘‘ওয়েলস কিন্তু এখনও ছিটকে যায়নি। ওরা আমাদের হারানোর জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে। আর একা বেল নয়। ওদের দলে বেশ কয়েকজন দুর্দান্ত ফুটবলার আছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দারুণ উত্তেজক একটা ম্যাচ হতে চলেছে।’’
আরও পড়ুন:Breakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস