JU: বিভাগীয় প্রধানদের হেনস্থা ও হুমকির জের! বিনয় ও উদয়ভানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বুধবার সকালে রসায়ন বিভাগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী উদয় ভানসিংকে ক্লাস রুম খুলতে বলেন। কিন্তু সেই কর্মচারী ক্লাস রুম খুলতে অস্বীকার করলে তিনি নিজেই তা খোলেন। যদিও ওই কর্মচারীই সরকারিভাবে ক্লাসরুম খোলার দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি মঙ্গলবারও ওই কর্মচারী দেরি করে আসায় বিভাগীয় প্রধান তাঁকে প্রথমার্ধের পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে সই করতে বলেন। সেখান থেকেই বিষয়টির সূত্রপাত হয় বলে খবর।

রসায়নের বিভাগীয় প্রধানকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানকে ফোনে হুমকির অভিযোগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবন্ধু সমিতির নেতা বিনয় সিংকে দ্রুত কারণ দেখানোর নির্দেশ দিলেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রসায়ন বিভাগের শিক্ষাকর্মী উদয়ভান সিংকে তাঁর ব্যবহারের জন্য কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রসায়ন বিভাগের প্রধান ডঃ স্বপন কুমার ভট্টাচার্যকে হেনস্থার অভিযোগের তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে ক্যাম্পাসের যে ভবনগুলিতে পঠনপাঠন হয়, সেখানে ঢুকতে পারবেন না উদয়ভান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এ কথা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বুধবার সকালে রসায়ন বিভাগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী উদয় ভানসিংকে ক্লাস রুম খুলতে বলেন। কিন্তু সেই কর্মচারী ক্লাস রুম খুলতে অস্বীকার করলে তিনি নিজেই তা খোলেন। যদিও ওই কর্মচারীই সরকারিভাবে ক্লাসরুম খোলার দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি মঙ্গলবারও ওই কর্মচারী দেরি করে আসায় বিভাগীয় প্রধান তাঁকে প্রথমার্ধের পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে সই করতে বলেন। সেখান থেকেই বিষয়টির সূত্রপাত হয় বলে খবর। এরপর ওই শিক্ষাকর্মী বিনয় এবং অন্যদের ডেকে আনেন বলে অভিযোগ। হাজিরা খাতায় প্রথমার্ধে কেন সই করতে দেওয়া হবে না, এই প্রশ্ন তুলে বিনয় ও তাঁর দলবল তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা এবং গালিগালাজ করার পাশাপাশি হাজিরা খাতা কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেছেন বলে বিভাগীয় প্রধানের অভিযোগ।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবাদ জানায়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে তাঁরা অবস্থানেও বসেন। বিনয় সিং অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে তাঁর অভিযোগ, হাজিরা খাতায় সই করতে না দিয়ে রসায়নের বিভাগীয় প্রধানই ‘অগণতান্ত্রিক’ কাজ করেছেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মী বিনয় তাঁর দফতরে নিয়মিত আসেন না বলেও অভিযোগ। তিনি বিভাগীয় প্রধানকে ফোনে হুমকি দিয়েছেন বলেও এ দিন ওই বিভাগের প্রধান পার্থ ভট্টাচার্য রেজিস্ট্রারকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন।

Previous articleআধুনিক বামপন্থা! কৌটো ঝাঁকানোর বদলে এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ CPIM-র
Next articleনিয়মিত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি পেলে, জানালেন কন‍্যা কেলি ন্যাসিমেন্টো