কয়লা পাচারের তদন্তে ইডি স্ক্যানারে পুরুলিয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় !

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারের তদন্ত করতে গিয়ে একাধিকবার সামনে এসেছে পুরুলিয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম

ইডির (Enforcement Directorate) নোটিশ পেয়েই বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সদর দফতরে হাজিরা দেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সভাধিপতি ও তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sujoy Banerjee) । তাঁকে কয়লা পাচার মামলায় জেরার জন্য ডেকে পাঠায় ইডি। পুরুলিয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতির ভূমিকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটরের স্ক্যানারে।
কয়লা পাচার মামলায় অনুপ মাঝি (Anup Majhi) অর্থাৎ লালার ডায়েরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার ডায়েরিতে থেকে পাচার নিয়ে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। একইসঙ্গে মিলেছে এই চক্রে যুক্ত একাধিক জনের নাম। সেই সূত্রে ধরেই ডাকা হতে চলেছে বেশ কয়েকজনকে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারের তদন্ত করতে গিয়ে একাধিকবার সামনে এসেছে পুরুলিয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সেই কারণেই তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে দিল্লিতে ইডি সদর দফতরে বৃহস্পতিবার তলব করা হয় তাঁকে। একইসঙ্গে তদন্তের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লালার ডায়েরি থেকে কয়লা পাচারের টাকা (Coal Smuggling Money) কোথায় কোথায় যেত টাকা সেই সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে। সেখানে কার কার কাছে যেত কয়লা পাচারের জন্য প্রোটেকশন মানি, সেই সূত্রও মিলেছে। সেই ডায়েরি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের উল্লেখও আছে বলে দাবি। এদিন ইডি তাঁকে সেই সংক্রান্ত প্রশ্নই জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

জানা গিয়েছে, ইডির তরফে সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হবে কয়লা পাচার চক্রের (Coal Smuggling Case) কারও সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ কখনও হয়েছিল কিনা। কিংবা কোনওরকম আর্থিক লেনদেনে তিনি জড়িয়েছিলেন কিনা। পুরুলিয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে কয়লা পাচার রুখতে তিনি কোনও পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা তাও জানতে চাওয়া হবে। এর আগে কয়লাপাচারকাণ্ডে রাজ্যের আট IPS অফিসারকেও তলব করে ED।

 

Previous articleগুজরাত নির্বাচনে এই প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন জুনাগড় দুর্গের জাম্বুরের আফ্রিকান কারিগররা
Next articleমামলা করে অভিষেকের সভা বন্ধের শুভেন্দুর ছক বানচাল, সভা হবে: জানাল আদালত