করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া নবান্ন, গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের

গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নতুন বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে। মেলা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলার সময় বা তার আগেই গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই গঙ্গাসাগরে জানুয়ারি মাস থেকেই জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা।

গঙ্গাসাগর মেলাকে (Gangasagar Mela) কেন্দ্র করে যাতে রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ (Covid 19) না ছড়ায় সেদিকে কড়া নজর রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal)। ভিন রাজ্য থেকে আসা পূণ্যার্থীদের হাত ধরে যাতে নতুন করে কোভিড মাথাচাড়া না তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, সাগর মেলায় আসা পূণ্যার্থীদের (Devotees) প্রথমেই ভিড় থেকে আলাদা সরিয়ে হাসপাতালে তাঁদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তাঁদের দ্রুত সুস্থ করে তোলার দিকে সব থেকে বেশি নজর দেওয়া হবে বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নতুন বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে। মেলা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলার সময় বা তার আগেই গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। তাই গঙ্গাসাগরে জানুয়ারি মাস থেকেই জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা। পাশাপাশি সংক্রমণ ঠেকাতে মেলা চত্বরে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকের সংস্থানও রাখা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, এবার মেলার আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে। যার একটা বড় অংশই খরচ করা হবে পরিবহণ ও কোভিড পরিকাঠামোর জন্য।

এছাড়াও এবারের মেলাতেও এন্ট্রি পয়েন্টগুলিতে কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর সংলগ্ন প্রতিটি হাসপাতালে র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট-এর ব্যবস্থাও থাকছে। সেই সঙ্গে ৫টি অস্থায়ী হাসপাতাল-সহ হারউড পয়েন্ট, কচুবেড়িয়া ও নামখানা বাসস্ট্যান্ড ও ফেরিঘাটে এই টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে। ডায়মন্ডহারবার, কচুবেড়িয়া, কাকদ্বীপ, বাঙুর, সাগর হাসপাতাল ও সাগরের মেলা হাসপাতালে রাখা হবে আইসোলেশান (Isolation) ওয়ার্ড। সাগরে থাকছে ১০টি ও কচুবেড়িয়া অস্থায়ী হাসপাতালে থাকছে ৫টি বেডের ব্যবস্থা।

Previous articleশুভেন্দুর পাড়ায় তৃণমূলের ডিসেম্বর ধামাকা, অভিষেকের সভা ঘিরে তুঙ্গে উন্মাদনা
Next articleGujrat : উন্নয়নের ছিটেফোঁটা নেই মোদি – শাহ রাজ্যে