ফের BSF-এর জুলুমবাজি! হেমতাবাদের মিলনমেলায় লাঠিচার্জ

ফের প্রকাশ্যে BSF-এর জুলুমবাজি! হেমতাবাদে (Hemtabad) মিলনমেলায় লাঠি চালানোর অভিযোগ। আহত নাবালক। প্রতি বছরের মতো এবারও হেমতাবাদ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার মাকরা গ্রামে মিলন মেলায় যোগ দিতে যান অনেকে। কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে জড়ো হন তাঁদের ভিনদেশী আত্মীয়রাও। কিন্তু কাঁটাতারের সামনে যেতেই এপারের বাসিন্দাদের উপর বিএসএফ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে জখম হয় এক নাবালকও।

বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে আগেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। এতে যে তাদের জুলুমবাজি বাড়বে তার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেটাই সত্যি হল। কী নিয়ে গোলমাল? সূত্রের খবর, ভিড় সামলাতে ব্যর্থ হয়েই চড়াও হয় বিএসএফ। একসময় মেলার বন্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষজন নিজেদের প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা করতে চান। তাই নিয়েই বচসা বেধে যায়। এরপরেই বিএসএফ নির্বিচারে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। যদিও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

শতবর্ষ প্রাচীন বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার গোবিন্দপুরে এক কালীপুজোকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এই মিলন মেলার আয়োজন হয়। এই পুজো নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এই পুজোকে কেন্দ্র করে দেশভাগের আগেও মেলা হত। এখন এই পুজোকে কেন্দ্র করে মেলার দিন আত্মীয়-বন্ধুর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ কেউ হাতছাড়া করতে রাজি নয়। তাইতো শুধু হেমতাবাদ ব্লক নয়, গোটা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, বিহার এবং শিলিগুড়ি থেকেও প্রচুর লোকের সমাগম হয় হেমতাবাদ ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাবিদ বলেন, “কাটাতারের ওপারে থাকা পরিজনেদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এইভাবে হামলা মোটেই উচিৎ নয়। শিশুদেরকেও বাদ দেয়নি বিএসএফ।” অন্য এক বাসিন্দা হুসেন আলি বলেন, “আমরা এই ঘটনার চরম নিন্দা করছি। শুধু শিশু-মহিলাদেরকেও মারা হয়েছে।”

আরও পড়ুন- পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক! ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপ মামলায় ফের ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নোরা

 

Previous articleপিছু ছাড়ছে না বিতর্ক! ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপ মামলায় ফের ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নোরা
Next articleদিনহাটায় তৃণমূলের সভায় উপচে পড়া ভিড়, নিশীথের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ উদয়নের