গ্রুপ ‘জি’ থেকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে পৌঁছাল ব্রাজিল এবং সুইজারল্যান্ড। এদিন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে ১-০ গোলে হারল ব্রাজিল। অপর ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-৩ গোলে হারাল সুইজারল্যান্ড।

এদিন ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে একাধিক পরিবর্তন আনেন ব্রাজিল কোচ তিতে। দলকে এদিন নেতৃত্ব দেন দানি আলভেজ। প্রথমার্ধে একাধিকবার আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি সেলেকাওরা। যার ফলে প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে গোলশূন্য।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় তিতের দল। পাল্টা আক্রমণে যায় ক্যামেরুন। যার ফলে ইনজুরি টাইমে ক্যামেরুনকে ১-০ এগিয়ে দেন আবু বাকার। এদিন একাধিকবার আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি সেলেকাওরা। এদিকে মাঠে বসে দলের হার দেখলেন নেইমার। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি মাঠে নামেন বলেই মনে করছে ফুটবল বিশ্ব। এদিন ব্রাজিল ম্যাচ শুরু করার আগে ফুটবল সম্রাট পেলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ব্রাজিলিয় সমর্থকরা। এদিন এক বিশাল টিফো আনেন তারা। যেখানে লেখা থাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন পেলে।

অপর ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারায় সুইজারল্যান্ড। ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। ম্যাচের ২০ মিনিটে গোল করে সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন শাকিরি। এরপর ঠিক ছ’মিনিটের মাথায় সমতা ফেরার সার্বিয়া। সার্বিয়ার হয়ে ১-১ করেন মিত্রভিচ। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে সার্বিয়ার হয়ে ২-১ করেন লাজোভিচ। পাল্টা আক্রমণ চালায় সুইজারল্যান্ড। যার ফলে ম্যাচের ৪৪ মিনিটে সমতা ফেরায় সুইজারল্যান্ড। সুইসদের হয়ে ২-২ করেন এমবোলো। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে ২-২।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় সুইজারল্যান্ড। যার ফলে ম্যাচের ৪৮ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের হয়ে ৩-২ করেন ফ্রেউলার। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কেউ।

আরও পড়ুন:ঘানার বিরুদ্ধে জিতেও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল উরুগুয়ে, শেষ ষোলোতে পর্তুগাল এবং দক্ষিণ কোরিয়া
