শুভেন্দু কেন ৮০ শতাংশ গালাগাল খায়? অভিষেকের সভামঞ্চে ব্যাখ্যা দিলেন কুণাল

এ রাজ্যে বিজেপিকে রাজনৈতিক কটাক্ষ বা আক্রমণে কেন তৃণমূল নেতারা বাকিদের তুলনায় শুভেন্দুকেই বেছে নেয়? এটা নিয়ে শুভেন্দুরও মনে প্রশ্ন আছে। এদিন শুভেন্দুর পাড়ায় দাঁড়িয়ে যুক্তি, তথ্য, পরিসংখ্যান দিয়ে তার ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

শনিবার কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ ময়দানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চ থেকে কুণাল বলেন, “তৃণমূলের ৮০শতাংশ তো শুভেন্দু আর ওদের পরিবার দখল করে ছিল। দলের পদ, বিধায়ক, সাংসদ, একাধিক মন্ত্রিত্ব, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, পর্ষদ, সবই তো ছিল অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের দখলে।
তারপর মমতাদির পিছনে ছুরি মেরেছে। বেইমানি করেছো তুমি, তাই তুমিও ৮০ শতাংশ গালাগাল খাবেন। শুভেন্দু ইডি এবং সিবিআই থেকেই বাঁচতে বিজেপির জুতো পালিশ করতে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কলঙ্ক শুভেন্দু অধিকারী। এখন নিজেকে বাঁচাতে কুৎসা, ব্যক্তি আক্রমণ করছে। ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করছে। শুভেন্দু নতুন হিন্দু সেজেছে। হঠাৎ খোল-কত্তাল নিয়ে বেরিয়েছে। একটা প্রতিষ্ঠিত চোর। সারা জীবন চুরি করে এখন যোগী হয়েছে।”

কুণাল আরও বলেন, “লড়াই ব্যক্তি কুৎসা নয়, উন্নয়ন নিয়ে হোক। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন অন্যদিকে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি। তাই উন্নয়নকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি বুথে জোড়াফুল প্রার্থীদের ভোট দিন।”

এদিন বাম-রাম আঁতাত নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন কুণাল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির দুই ভাই, সিপিএম আর কংগ্রেস(আই)। তাই যে যত জোট করুক প্রতিটি বুথে ৫১-১০০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করুন। কোনও জোর জুলুম নয়, মানুষকে বুঝিয়ে ভোট করতে হবে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প। মানুষের ভোটে জিততে পারেনি। তাই সিবিআই, ইডি দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে।

কুণালের আরও দাবি, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। সবাই জানে কাঁথির সভায় সড়ক পথে আসবেন অভিষেক। তাই গত কয়েকদিন ধরে বোমা মজুত করা হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসনকে আমরা বলছি, অবিলম্বে এর তদন্ত করতে হবে।”

 

Previous articleদিমিত্রির গোলে বিএফসির বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় মোহনবাগানের
Next articleশেষ আটে ডাচরা, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আমেরিকাকে ৩-১ গোলে হারাল নেদারল্যান্ডস