লুডো খেলার মারাত্মক নেশা! যোগী রাজ্যের রেণুর গল্প হার মানাবে রিল লাইফকে

মহিলার স্বামী জানান আমেঠি জেলায় তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি আরও জানান, লুডোতে হেরে স্ত্রী এখন বাড়িওয়ালার সঙ্গে বসবাস করছে। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও স্ত্রী মানতে রাজি নয়। তবে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি বক্তব্যও আপলোড করেছেন ওই ব্যক্তি, যা এখন ভাইরাল।

মহাভারতে পাশা খেলায় নিজের স্ত্রী দ্রৌপদীকেই (Draupadi) বাজি রেখেছিলেন পাণ্ডবরা (Pandab)। এই গল্প সকলেরই জানা। আর এবার অন্য ছবি দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। যা শুনলে কপালে চোখ উঠবে আপনাদেরও। জুয়ার নেশা যে কতখানি সর্বনাশা হতে পারে, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এক মহিলা। না, তাস কিংবা পাশা খেলা নয়, লুডোর নেশায় বুঁদ উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের রেণু (Renu) নামের এক মহিলা। আর সেই নেশাই তাঁর জীবনে কাল হল। বাড়ির মালিককে (Land Lord) ভাড়ার টাকা না মেটাতে পেরে নিজেকেই তাঁর কাছে বাজি ধরেন রেণু। কিন্তু সেই লুডো (Ludo) খেলাতেও হার হয়েছে তাঁর। আর হারের পর বর্তমানে নাকি বাড়ির মালিকের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেছেন রেণু। তবে শোনা যাচ্ছে বর্তমানে নাকি বাড়ি মালিককে ছেড়ে নিজের স্বামীর কাছে ফিরতেই চাইছেন না উত্তরপ্রদেশের ওই মহিলা।

কোতোয়ালি এলাকায় বসবাসকারী এক মহিলা তাঁর স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িওয়ালার সঙ্গে লুডো খেলতেন এবং টাকা ফুরিয়ে গেলে তিনি নিজেকেই বাজি ধরতেন। স্বামী কর্মসূত্রে রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা। তবে স্ত্রীর প্রয়োজনমত নিয়মিত টাকাও পাঠাতেন তিনি। কিন্তু সেই অর্থের অনেকটাই লুডোর পিছনে খরচ করে ফেলতেন রেণু। লুডো খেলতে তিনি অত্যন্ত ভালবাসেন। বাড়ির মালিকের সঙ্গে নিয়মিত লুডো খেলতেন। কিন্তু তা কখনই খালি হাতে নয়। রীতিমতো টাকা নিয়ে চলত খেলা। খেলায় হারলেই জয়ীর হাতে টাকা তুলে দিতে হত। এই খেলার চক্করে বাড়ি ভাড়াও মেটাতে পারেননি তিনি। তাই ঠিক করেন, লুডোয় জিতে সেই অর্থই ভাড়া হিসেবে দেবেন। কিন্তু তা হয়নি। সম্প্রতি বাড়ির মালিকের সঙ্গে লুডো খেলতে বসে হেরে যান রেণু। তারপরই ভাড়া মেটানোর টাকা না দিতে পেরে শেষমেশ নিজেকেই বাজি ধরেন। তাতেও জয় না পেলে শর্ত মেনে বাড়ির মালিকের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন ওই মহিলা।

মহিলার স্বামী জানান একদিন তাঁর স্ত্রী ফোন করে বলে, আমি লুডোতে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছি। এসে লেখা-পড়া করে নাও। তুমি এখন আমাদের ফাঁদে পড়লে তোমাকে কেটে ফেলে দেওয়া হবে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তিনি রামপুর বেলহার বাসিন্দা। আমেঠি জেলায় তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি আরও জানান, লুডোতে হেরে স্ত্রী এখন বাড়িওয়ালার সঙ্গে বসবাস করছে। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও স্ত্রী মানতে রাজি নয়। তবে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি বক্তব্যও আপলোড করেছেন ওই ব্যক্তি, যা এখন ভাইরাল।

এদিকে প্রতাপগড়ে ফিরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন রেণুর স্বামী। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

 

Previous articleসুজাতা আর আমি দুজনেই মা: ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবি প্রচার এসে মন্তব্য কাজলের
Next articleগুজরাট অপরিবর্তিত, হিমাচলে ক্ষমতায় আসছে কংগ্রেস: বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা