আবাস যোজনায় আরও শর্ত চাপাচ্ছে কেন্দ্র!

কেন্দ্রীয় সরকার ২৪ নভেম্বর রাজ্যকে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। আবাস তথ্য ভান্ডার থেকে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮ টি বাড়ি অনুমোদন পেয়েছে। রাজ্য সরকার ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শেষ করতে টাইমলাইন তৈরি করে দিয়েছে।

একে বছরের একেবারে শেষে আবাস যোজনার (Housing Scheme) বকেয়া বরাদ্দ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। এরপর একের পর এক শর্তের বোঝা চাপানোয় কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। প্রকল্পের প্রতি ধাপে সময় সীমা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি ১৫ দফা শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। এবার জানানো হল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার জন্য উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank Account) সঙ্গে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক। রাজ্যের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতেই শেষ মুহূর্তে টাকা দিয়ে একের পর এক শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের গ্রামীণ আবাস প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গয়া প্রসাদ রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। আধার নির্ভর পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ওই টাকা দেওয়া হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যেসব উপভোক্তা নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযোগ রয়েছে কি না রাজ্য সরকারকে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যাতে উপভোক্তাদের ওই টাকা পেতে দেরি না হয়। উল্লেখ্য ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে আবাস যোজনার প্রাপকদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি না হলে বরাদ্দ হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে।

কেন্দ্রীয় সরকার ২৪ নভেম্বর রাজ্যকে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। আবাস তথ্য ভান্ডার থেকে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮ টি বাড়ি অনুমোদন পেয়েছে। রাজ্য সরকার ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শেষ করতে টাইমলাইন তৈরি করে দিয়েছে। কিন্তু তালিকায় নাম থাকার কাজে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চোখরাঙানির আশঙ্কায় আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা কাজে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। ফলে বহু জায়গায় যাচাই সমীক্ষার গতি শ্লথ হয়েছে। যা লক্ষপূরণে রাজ্যকে ভাবচ্ছে।

 

Previous articleরামপুরহাটে ধুন্ধুমার, ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল সিবিআই: বিস্ফোরক অভিযোগ লালনের স্ত্রীর
Next articleইডির অতিরিক্ত চার্জশিট থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন পার্থর