Thursday, December 25, 2025

লালনের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ পরিবারের! পুলিশের আশ্বাসের পর বগটুইয়ে ফিরল দেহ

Date:

Share post:

সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর পর সিবিআইয়ের মোট সাত আধিকারিকের নামে এফআইআর করেছে মৃতের পরিবার। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। কিন্তু এখনও তাঁদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাই বুধবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে লালনের দেহ পরিবার হাতে নিলেও শেষকৃত্য করতে এখনই রাজি নয় লালনের পরিবার। প্রথমে বগটুইয়ের বাড়িতে মরদেহ নিয়েই যাওয়াই হয়নি লালনের মরদেহ। মেডিক্যাল কলেজ থেকে সোজা রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ায় হয় মৃতের দেহ। সেখানেই লালনের দেহ নিয়ে প্রথমে বিক্ষোভে বসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরপর সেখান থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে লালনের পরিবার।  সেখানে ১০ মিনিট বিক্ষোভ দেখানোর পর লালনের বাড়িতে বগটুইয়ে নিয়ে যাওয়া হয় লালনের দেহ।

আরও পড়ুন:লালন শেখের রহস্যমৃ*ত্যু: CBI অফিসারদের বিরুদ্ধে খুন-তোলাবাজি-হুমকি-লুঠের মামলা রুজু

প্রসঙ্গত, লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুকাণ্ডে এফআইআরে নাম ডিআইজি সিবিআই-এর। পুলিশের এফআইআরে নাম সিবিআই আধিকারিক ও অফিসার মিলিয়ে মোট সাতজনের। খুন, তোলাবাজি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে।কিন্তু এখনও দোষীদের গ্রেফতার করা হয়নি। তাই দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন লালনের পরিবার।

গত সোমবার বিকেলে রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।যদিও লালনের স্ত্রী রেশমার দাবি, সিবিআই ‘খুন’ করেছে লালনকে। লালনের স্ত্রী এফআইআর করেছেন রামপুরহাট থানায়। সেখানে সিবিআই আধিকারিকদের নাম উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, তাঁদের বার বার হুমকি দেওয়া হয়েছে। লালনকে মেরে ফেলা হবে বলে ভয় দেখানো হয়েছে। কখনও হার্ড ডিস্ক না পেলে ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। এর পর পুলিশের তরফে দায়ের হওয়া এফআইআরে মোট ৭ সিবিআই আধিকারিকের নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজির অভিযোগ-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

অন্য দিকে, লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে সিবিআই। তিনি এ-ও দাবি করেন যে, মৃত লালনের জিভ কাটা ছিল। তাঁর হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। সিআইডি তদন্তের দাবি করে দেহ নিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। অবশেষে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। তার পরেই দেহ নিতে রাজি হলেও রেশমা বিবি রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের বাইরে বিক্ষোভে বসেন বগটুইবাসী। তারপর সেখানে থেকে বগটুই নিয়ে যাওয়া হয় লালনের দেহ।

spot_img

Related articles

বিরাটের খেলা দেখতে গাছে দর্শক, রোহিতের প্রণাম ভক্তের

আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক ঘরোয়া ক্রিকেট, বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মার(Virat Kohli -Rohit Sharma) যেখানেই খেলবেন জনপ্রিয়তার গ্রাফ থাকবে উপরের দিকে।...

প্রয়াত জঙ্গলমহলের ‘মাস্টারমশাই’ উপেন্দ্র কিস্কু

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বামনেতা উপেন্দ্র কিস্কু (Upendra Kisku)। বুধবার রাতে বাঁকুড়ার (Bankura)...

সুগন্ধি ব্যবহারেও সমান দক্ষ, বুমরাহের অজানা গুণ প্রকাশ্যে আনলেন সতীর্থ

প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের কাছে ত্রাসের নাম জসপ্রীত বুমরাহ (Jaspreet Bumrah)।  আগুনে বোলিং করে বিপক্ষ দলের ব্যাটারদের সাজঘরের পথ...

চরিত্র বদল জমায়েতের: স্বাধীনতা সংগ্রাম মনে করিয়ে BNP-কে পথ দেখালেন তারেক

ধর্ম ও জাতি হিংসার পথ থেকে সরে আসতে বাংলাদেশকে কতটা পথ দেখাতে পারবে বিএনপি তা আগামী সময় বলতে...