বাংলার জয়ের জন‍্য দরকার ১০১ রান

উত্তরপ্রদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রানে ফেলে দিয়েছেন বঙ্গ বোলাররা। আকাশ দীপের তিন উইকেটের পাশে দুটি করে উইকেট ইশান পোড়েল, প্রীতম চক্রবর্তী, সায়ন শেখর মন্ডলের।

রঞ্জি ট্রফির ম‍্যাচ জিততে বাংলার দরকার ১০১ রান। ক্রিকেটের এটাই মজা। প্রতিদিন ছবি বদলায়। ইডেনে তিন দিনে উইকেট বেমালুম বদলে গেল! প্রথম দিন এই উইকেটে ক্রিকেটের ভাষায় বল নড়েছে। মুভ করেছে। কাট করেছে। সেই উইকেটে তৃতীয় দিন কার্যত কিছুই হল না। শিবম মাভি, অঙ্কিত রাজপুত সবাই মিলে ৪২ ওভার হাত ঘুরিয়ে পেলেন মোটে দুটি উইকেট। বলাবাহুল্য, এরপর অ্যাডভান্টেজ এখন বাংলার। তাদের রান ১৫৬-২। মনোজ তিওয়াড়িদের জিততে দরকার আর ১০১ রান।

উত্তরপ্রদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রানে ফেলে দিয়েছেন বঙ্গ বোলাররা। আকাশ দীপের তিন উইকেটের পাশে দুটি করে উইকেট ইশান পোড়েল, প্রীতম চক্রবর্তী, সায়ন শেখর মন্ডলের। একটি উইকেট শাহবাজ আমেদের। ৪০ রানে চার উইকেট হারিয়েও উত্তরপ্রদেশ যে ২২৭-এ পৌঁছল, সেটা অবশ্য রিঙ্কু সিংয়ের সৌজন্যে। প্রথম ইনিংসে তিনি দলকে টেনেছেন। এই ইনিংসেও কেকেআর ব্যাটসম্যান ১১৩ বলে ৮৯ রান করে গেলেন। এছাড়া আকাশদীপ নাথের ৫৩। দুজনের পার্টনারশিপে উঠে এল ১০২ রান।

জেতার জন্য ২৫৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে অভিষেক দাস ও কৌশিক ঘোষ যখন বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন, তখনও দল বেশ চাপে। সেই চাপ আরও বাড়ল ১৮ রানে অভিষেক (৯) ও  ৬১ রানে সুদীপ (২২) ফিরে যাওয়ায়। কিন্তু শিবম মাভি এই দুটো উইকেট নেওয়ার পর আর কোনও উইকেট পাননি। কারণ, ততক্ষণে কৌশিক (৬৯ নট আউট) আর অনুষ্টুপ মজুমদার প্রথম ইনিংসের ভুল শুধরে নিতে পেরেছেন। দুজনের জুটিতে এখনও পর্যন্ত উঠে এসেছে ৯৫ রান। শেষদিনে আরও চাই ১০১ রান। যেটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। যেহেতু উইকেটের সবুজ ঘাস শুকিয়ে এসেছে। ময়েশ্চারও উধাও। শেষবেলায় মাভিদের বলগুলো আর প্রথম ইনিংসের মতো গায়ে আসেনি। চতুর্থদিনেও আসবে বলে মনে হয় না। শুধু সকালের প্রথম ঘন্টা সতর্ক থাকতে হবে অনুষ্টুপদের। এই সময়টায় ইডেনে বোলারদের রাজ চলে।

 

Previous articleঅমিতাভ শোনালেন ভারতীয় ফিল্মের ইতিহাস, সোশ্যাল মিডিয়াকে বার্তা বাদশার: আপ্লুত সৌরভ
Next articleভারতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে কিডনির অসুখ, সচেতনতায় হাঁটল বিধাননগর