রাতে তোলাবাজির হিসেব করে সকালে উঠতে পারে না, শুভেন্দুকে “মর্নিং ওয়াক” খোঁচা কুণালের

গেরুয়া শিবিরের অন্দরে এই মর্নিং ওয়াক তরজার আগুনে এবার ঘি ঢাললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে একহাত নিলেন শুভেন্দুকে

“আমি শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা। আমি গিমিকে বিশ্বাস করি না। আমি যা বলি, ভেবে বলি। যা বলি তা করে দেখাই। আমি মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে মিডিয়ায় স্টেটমেন্ট দিই না।” সম্প্রতি হাজরায় দলীয় সভা থেকে নাম না করে তাঁর দলেরই নেতা দিলীপ ঘোষকে খোঁচা।মেরেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ বাবুও। তিনি বলেছিলেন, “সকালে উঠে মর্নিং ওয়াক করতে দম লাগে।” গেরুয়া শিবিরের অন্দরে এই মর্নিং ওয়াক তরজার আগুনে এবার ঘি ঢাললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে একহাত নিলেন শুভেন্দুকে। বললেন, রাতভর বোমাবাজি, তোলাবাজির পর শুভেন্দু আর ঘুম থেকে উঠতে পারে না, তাই মর্নিং ওয়াকই করতে পারে না।

কুণাল ঘোষের কথায়, “দিলীপ বাবুর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক নীতিগত বিরোধিতা আছে। কিন্তু উনি মর্নিং ওয়াক করেন। মর্নিং ওয়াক ভালো জিনিস। ওনার মর্নিং ওয়াকে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে আমাদেরও একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হয়। কিন্তু শুভেন্দু অন্ধকারের জীব, নরকের কীট। ও সকালে উঠবে কীভাবে? ও তো গভীর রাত পর্যন্ত বোমাবাজি, তোলাবাজি করে। তোলাবাজির হিসাব করতে গিয়ে আর সকালে উঠতে পারে না। তাই দিলীপবাবুর মর্নিং ওয়াক নিয়ে যা তা কথা বলছে।”

সবমিলিয়ে শুভেন্দুর ডিসেম্বর ধামকার নামে ফ্লপ-শোয়ের পর এবার মর্নিং ওয়াক তরজা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুধু বিরোধীরা নয়, বিজেপির অন্দরেই হাসির খোরাক হতে হচ্ছে শুভেন্দুকে।

 

Previous articleগোধরা সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তের জামিন সুপ্রিমকোর্টের
Next articleকলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপনে নজর কাড়ল সেনাবাহিনীর নানান কলা কৌশল